সঙ্গীতা চ্যাটার্জী:- ন্যাশনাল স্কুল অফ্ ড্রামা আয়োজিত ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব’ -এর ‘জন ভারত রঙ্গ’ বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছিলো হুগলী জেলার হরিপালে অবস্থিত নাট্যদল খামারচন্ডী নাট্যপ্রহরী। এই অনুষ্ঠানে ললিত প্রকাশের রচিত ‘লো আই বাপস সোনে কী চিড়িয়া’ হিন্দী নাটক অবলম্বনে “ফিরে এল সোনার পাখি” বাংলা নাটকটি মঞ্চস্থ করল নাট্যপ্রহরী। গত ২১শে ফেব্রুয়ারী’২৪ বিকালে নাটকের মঞ্চায়ন হল, হরিপাল ১৯ নং রেলগেটের সন্নিকট কালীপদ সিংহ মেমোরিয়াল হলের ত্রিতলে দলের নিজস্ব মহলা কক্ষে।নাটকের বিষয় ছিল ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্’।এখানে ‘বসুধা’ র অর্থ হলো পৃথিবী,আর ‘কুটম্বকম্’ এর অর্থ হলো পরিবার। প্রাচীন সংস্কৃত এই বাগধারার মধ্যে দিয়ে সমগ্র বিশ্বকে একটি পরিবার হিসাবে বোঝানো হয়েছে।আজকের এই অশান্ত বিশ্বের কাছে তাদের এই উপস্হাপনা নতুন আলোর সন্ধান দেয়।ন্যাশনাল স্কুল অফ্ ড্রামা আয়োজিত ‘ভারত রঙ্গ মহোৎসব’-এর ২৫ বর্ষ উদযাপনের শেষ দিনে বিশেষ চলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নাটকটি অভিনয় করে নাট্যপ্রহরী। নাটকটির বাংলা ভাবানুবাদ করেন মলয় ঘোষ।নাটকটির সামগ্রিক পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সুমন রায়। আলোক প্রক্ষেপন সঞ্জয় বটব্যাল, চলমান সম্প্রচার ও ফটোগ্রাফি তে অঙ্কিত কর্মকার ও দেবব্রত চক্রবর্তী,পোষাক পরিকল্পনায় পল্লব কর্মকার এবং নৃত্য পরিকল্পনায় ছিলেন স্নেহা ব্যানার্জী। নেপথ্য সহযোগিতায় কমল বন্দ্যোপাধ্যায়। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আভাষ বসু,অরূপ কুমার দাস,রাকেশ সাহা,স্নেহা ব্যানার্জী,সৌমিলি ব্যানার্জী,দীপ্তিকা সরকার ও দীপ সরকার। গান ও বাদ্যে ছিলেন সৌমিলি বাড়ুই ও পুলক রায়। সম্পূর্ন নাটকটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সূত্রধরের ভুমিকায় অরূপ কুমার দাস সু অভিনয় করেন।এই নাটকটি মঞ্চায়নের জন্য ন্যাশনাল স্কুল অফ্ ড্রামার পক্ষ থেকে একটি অংশগ্রহনের শংসাপত্র খামারচন্ডী নাট্যপ্রহরীকে প্রদান করা হয়।