সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- আগামী ১১ ই ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া সতীঘাটে তৃণমূলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মী সম্মেলনের প্রধান বক্তা। ইতিমধ্যেই সম্মেলন সফল করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবে এই কর্মী সম্মেলনে। সেই কর্মী সম্মেলনে মূলমঞ্চ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে করা হলেও কর্মী সম্মেলনের ডাক পাওয়া নেতা-কর্মীরা বসবেন নদী বক্ষে। সেই কারণেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নদীবক্ষ জেসিবি, ড্রজার দিয়ে পরিষ্কার করে উঁচু-নিচু ভাঙে বসার উপযোগী করার কাজ চলছে পুরোদমে। এর আগেও গন্ধেশ্বরী নদী বক্ষে অবৈধ নির্মাণ, শহরের নোংরা আবর্জনা নদীতে ফেলা ও একটি ধর্মীয় সংগঠনের সম্মেলন নদীবক্ষে করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন কে সামনে রেখে আজই প্রথম আন্দোলনে নামতে দেখা গেল গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটিকে। জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে সংগঠনের পক্ষ ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। নদীবক্ষে সভা করার প্রতিবাদে এক স্মারকলিপিও জমা দেন জেলা শাসকের কাছে। পাশাপাশি আজ বিকেলে বাঁকুড়া লালবাজার মোড়ে নদী বাঁচানোর আহবানে একটি পথসভা করা হয় এই যৌথ কমিটির পক্ষ থেকে। নদী বাঁচাও কমিটি অবশ্য রাজশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা কঠিন বলে মেনে নিয়েছেন। জেলাশাসক পুলিশসুপার আমলাতান্ত্রিক রাজশক্তির একটি অঙ্গ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারছেন না এমনটাই দাবি এই আন্দোলনকারীদের।