সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ- বিহারের গ্যাংস্টার সুবোধ সিংকে শোন অ্যারেস্ট করতে পারলোনা আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। বুধবার ১৪দিনের সিআইডি হেফাজতের পর কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে পুনরায় তাকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ৩১ জুলাই সুবোধ সিংকে পুনরায় আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজনে জেলে গিয়ে তাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আসানসোল আদালত থেকে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় সুবোধ সিং সিআইডির দুই আধিকারিককে হুমকি দিয়েছিলো বলে অভিযোগ। ওই দিনই সুবোধ সিং এর বিরুদ্ধে আসানসোল দক্ষিণ থানায় সিআইডি অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা করে। সেই প্রেক্ষিতে আদালতে এদিন সওয়াল-জবাবের সময় সরকারি আইনজীবী সুবোধ সিংকে শোন অ্যারেস্ট করে পুলিশ হেফাজতে নেবার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট টেকনিক্যাল কারণে অর্থাৎ ৪১ ধারায় নোটিশ না দেওয়ার সুবোধ সিংয়ের শোন অ্যারেস্ট ও পুলিশ হেফাজতের আবেদন নাকচ করে দেন।
উল্লেখ্য ২০২২ সালে রানিগঞ্জে একটি ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ‘ত্রাস’ সুবোধ সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতে সুবোধকে বিহারের জেল থেকে গত ৩০ জুন ট্রানজিট রিমান্ডে আসানসোলে নিয়ে আসা হয়। ১ ও ২ জুলাই পরপর দুদিন আসানসোল জেলে ছিলো সুবোধ সিং। এরপর ৩ জুলাই তাকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে সিআইডির আবেদনের ভিত্তিতে সুবোধ সিংয়ের ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
প্রসঙ্গত ৬ বছর আগে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল সুবোধ সিং ৷ তারপর থেকে সে বিহারের জেলে বন্দি। কিন্তু, তারপরেও অপরাধমূলক কাজকর্ম থামেনি ৷ অভিযোগ বিহারের জেলে বসেই অপরাধমূলক কাজকর্মের নেটওয়ার্ক চালায় এই গ্যাংস্টার। আসানসোল ও রানিগঞ্জের একাধিক ডাকারির ঘটনার তার যোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।