নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর:- শিল্পাঞ্চলে সকল স্তরের মানুষকে দাবা খেলায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে গত বেশ কয়েক বছর ধরে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে গীতাঞ্জলি মেমোরিয়াল দাবা প্রতিযোগিতা। প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি জোন, এডিসান রোডে স্থিত বিধান ভবনে অনুষ্ঠিত হলো। এবারের দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ পশ্চিম বর্ধমান ডিসট্রিক্ট চেস (দাবা) অ্যাসোসিয়েশন, বিডিসিএ এবং দুর্গাপুর স্পোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে এই দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ টি অনুষ্ঠিত হলো। এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপে মূলত তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। প্রথম বিভাগে ছিল ওপেন গ্রুপ। দ্বিতীয় বিভাগের সিনিয়র সিটিজেন গ্রুপ এবং তৃতীয় বিভাগের ছিল এজে গ্রুপের।
এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করতে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে দাবা খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন। মোট ১২০ জন খেলোয়াড় এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেন। এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়ারদের জন্য দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন থেকে শুরু করে জলখাবার পূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ছটি রাউন্ডে খেলা হয়। এবং প্রতি রাউন্ড কুড়ি মিনিট করে ধরা হয়েছিল।
এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপে খুদে পড়ুয়া সহ বিভিন্ন বয়সের দাবা খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেন। এক কথায় বলতে গেলে এদিন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এডিশন রোডের বিধান ভবন হয়ে উঠেছিল এক মহামিলন চেস খেলোয়াড়দের মহামিলন তীর্থ । খেলার শেষে প্রতিটি বিভাগের সকল প্রতিযোগীকে মেডেল ও শারক দিয়ে সম্মান জানানো হয়। এদিনের এই খেলাতে আসানসোল থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিখ্যাত দাবারু তপন দাশগুপ্ত, এন কে লাহা, সভাপতি বিডি সিএ, অতনু মন্ডল, ডক্টর মালাকার, দামোদর কুমার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট দাবা খেলোয়াড়রা। এদিনের এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন পংকজ মণ্ডল।
এই গীতাঞ্জলি মেমোরিয়াল চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে দুর্গাপুরের খ্যাতনামা চেস খেলোয়াড় তথা সম্পাদক মলয় মজুমদার জানান, “সকল স্তরের মানুষের মধ্যে দাবা খেলাকে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবারই তারা এই চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে থাকেন। খুদে পড়ুয়া, গৃহবধূ ,রিটায়ার্ড ব্যক্তি সহ সকল বয়সের মানুষের মধ্যে চেস (দাবা) জনপ্রিয় হচ্ছে দ্রুত শিল্পাঞ্চলে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এবারের চেস (দাবা) চ্যাম্পিয়নশিপে বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে এতে আমরা আপ্লুত। আগামী দিনে দুর্গাপুর থেকে জাতীয় স্তরের দাবা খেলোয়াড় তৈরি করায় আমাদের মূল লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আমরা দাবা খেলাকে প্রাধান্য দিতে অনুরোধ করেছি, স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে।” এদিনের এই গীতাঞ্জলি চেস চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান দিয়ে সমাপন ঘটে।