সোমনাথ মুখার্জি, অন্ডাল :- ২০১৬ সালে ঘটা করে অন্ডালে র শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কুটির ডাঙ্গা এলাকায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফ্লাই অ্যাশ ইঁট তৈরীর কারখানার কাজ শুরু হয়েছিল।সঠিক সময়ে নির্মাণের কাজ ও শেষ হয়। কিন্তু এক কথায় পরিকল্পনার অভাবে শুরু হয়ে ও বন্ধ হয়ে যায় ইঁট তৈরীর কাজ। এই প্রকল্প তৈরী হয়েছিল MGNREGS, GP FUND ও PS তহবিলের আর্থিক সহায়তায় । স্থানীয়দের অভিযোগ সবে কয়েকদিনের জন্য শুরু হয় ফ্লাই অ্যাশ ইঁট তৈরীর প্রকল্পের কাজ । তার পর হটাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় কাজ । বর্তমানে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে তৈরি ইঁট তৈরির কারখানা এখন জঙ্গলাকীর্ণ। চারিদিকে শুধু ই আগাছা, আর তার মাঝে বিকল হয়ে পড়ে থাকা ইঁট তৈরির যন্ত্র ও যত্র তত্র দুষ্কৃতীদের বিচরণের নিদর্শন । স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি ধীরেন চৌধুরী বলেন এলাকায় ইঁট তৈরীর কারখানা শুরু হয়েই বন্ধ হয়ে গেছে ,ফলে এভাবে চললে অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়তে পারে এলাকায় । তাই তারা চান শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ চালু হোক,ও তাতে একাকার কিছু বেকার কাজের সুযোগ পাক। যদিও এই প্রকল্পের ব্যাপারে শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত প্রধান শিপ্রা ব্যানার্জি সঠিক ভাবে কিছুই বলতে না পেরে বললেন ফ্লাই অ্যাশ দিয়ে তৈরী ইঁট বিক্রি হচ্ছিল না তাই বন্ধ হয়ে গেছে। এটা কোনো প্রশাসনিক বক্তব্য হতে পারেনা ,কারণ এরকম হলে প্রস্ন উঠে তাহলে কি পরিকল্পনায় ভুল ছিল ? সরকারের এতগুলো টাকা জলে গেল? এরকম নানান প্রশ্ন ঘুরছে এলাকায়। নাম প্রকশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন ,”যেহেতু দামোদর পাড় সংলগ্ন গ্রাম কুটির ডাঙ্গা তাই অহেতুক এরকম পরিকল্পনাহীন প্রকল্পে এতগুলো টাকা ব্যয় না করে যদি নদীর পাড় বেঁধে দিত প্রশাসন তাহলে বোধ হয় গ্রামবাসীরা বেশি উপকৃত হতে “। অন্যদিকে প্রকল্প গুলোকে বাঁচাতে এক কথায় প্রকল্পের কাজ খুব শীগ্রই শুরু করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন অন্ডাল ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ঋত্বিক হাজরা। তিনি জানান,কারখানা শুরু হবার পর স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও গোষ্ঠীর সাথে চুক্তি হয় কারখানার কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে , বি ডি ও এও জানান যে বর্তমানে পঞ্চায়েত সেই প্রকল্পের কাজ চালাতে পারছেনা । তাই এবার ব্লক প্রশাসন প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছে কারখানার কাজ চালু রাখতে আগামী অর্থ বর্ষে নিজেদের হাতে কারখানার দ্বায়িত্ব নিয়ে নিতে । যাতে করে এই প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠ ভাবে চলতে পারে।