eaibanglai
Homeএই বাংলায়গুরু পূর্ণিমার দিন কী করবেন?

গুরু পূর্ণিমার দিন কী করবেন?

সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- আজ গুরু পূর্ণিমা। ‌ গুরু পূর্ণিমার দিনে ব্যাস পূজা করা হয়। কী ব্যাসপূজা? ব্যাস পূজা হলো মহাভারত রচয়িতা বেদব্যাস যিনি হিন্দু শাস্ত্র ও সংস্কৃতির অন্যতম ভিত্তি রচনা করেছিলেন, আজ তার জন্মতিথি তাই আজকের দিনে তাকে স্মরণ, মনন করা হয় এবং তার পুজো করা হয়। পরাশর মুনি ও সত্যবতীর পুত্র বেদব্যাস চারটি বেদকে সংকলন ও শ্রেণীবদ্ধ করার পাশাপাশি বহু পুরাণের সম্পাদক শ্রীমদ্ভাগবতের মূল প্রণেতা। তিনি বেদকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন বলে তাঁকে ব্যাসদেব বলে সম্মান দেওয়া হয় এবং তাকে গুরুতত্ত্বের আদি স্রষ্টা বলা হয়।

এবার আসি গুরু তত্ত্বের কথায়, গুরু কে? যিনি অন্ধকার ঘুচিয়ে আমাদের আলোয় নিয়ে যান, যিনি আমাদের সমস্ত তত্ত্ব প্রদান করেন , তিনিই গুরু। গুরু তিনি যিনি আমাদের অশিক্ষা থেকে শিক্ষার আলোয় নিয়ে যান। অর্থাৎ আমাদের সমগ্র জীবনে আমরা তাদের থেকে শিক্ষা পেয়েছি , যাদের থেকে অন্ধকার দূর হয়ে আলোয় এসেছি, তারা প্রত্যেকেই আমাদের গুরু। সেই হিসেবে আমাদের জীবনে অনেকগুরু আছেন, দীক্ষা গুরু, শিক্ষা গুরু এবং আমাদের জীবনে জড়িয়ে থাকা এমন মানুষ যাদের থেকে আমরা সৎ পরামর্শ , সৎ শিক্ষা পেয়েছি। আজ তাদের প্রত্যেককে প্রণাম জানানোর দিন, তবে প্রণাম কিন্তু ফোনে জানাবেন না।

কারণ হরিপালের সবুজ কালী মায়ের মন্দিরের পূজারী ও অন্যতম সাধক পন্ডিত শিবানন্দ পুরীর মতে, গুরুপূর্ণিমার দিনে গুরুদেবকে কখনই ফোনে প্রণাম জানাতে নেই, হয় তার সামনে সাক্ষাৎ করে তাকে প্রণাম জানাতে হয়, নয়ত তার ছবিতে মনে মনে প্রণাম জানাতে হয়। আর ব্যাসদেবের পুজো করতে গেলে যদি আপনার কাছে কোন‌ও কিছু নাও থাকে, তাহলে ব্যাসদেবের রচনা করা মহাভারতের উপর ফুল ছিটিয়ে দিন, শ্রদ্ধাপূর্বক গীতার একটি শ্লোক পাঠ করুন এতেই ব্যাস পুজোর সার্থকতা খুঁজে পাবেন। হরে কৃষ্ণ, রাধে রাধে, জয় গুরু।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments