সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান:- গত ২ রা আগস্ট ছিল ‘ভারতীয় রসায়ন বিদ্যার জনক’ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬৪ তম জন্মদিন। রসায়ন বিদ্যার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জীর উৎসাহে এবং রসায়ন বিভাগের প্রধান ড. পিয়ালী রায় সহ অন্যান্য অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীদের উদ্যোগে সেদিন এই বিখ্যাত বৈজ্ঞানিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য একটি ‘সেমিনার’-এর আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি বিজ্ঞানীর বৃক্ষপ্রেম মাথায় রেখে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ সেদিন সেই কর্মসূচি স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়।
অবশেষে ২৯ শে আগস্ট ‘জাতীয় ক্রীড়া দিবস’ এর দিন ৫ টি বৃক্ষরোপণের মধ্যে দিয়ে সেই অসমাপ্ত কর্মসূচি আপাতত সম্পূর্ণ করা হয়। অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন গুসকরা পৌরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী, বিশিষ্ট ফুটবলার শংকর ঘোষ, রসায়ন বিভাগের প্রধান সহ অন্যান্য অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীরা এবং ছাত্রছাত্রীরা। শুধু বৃক্ষরোপণ করেই দায়িত্ব শেষ হয়নি। গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবস্থাও করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
রসায়ন বিভাগের প্রধান ড. পিয়ালী রায় বলেন – অসমাপ্ত কর্মসূচি সমাপ্ত করতে পেরে আমরা খুব খুশি। আগামী দিনে আরও কিছু বৃক্ষরোপণ করব।
অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চ্যাটার্জ্জী বলেন – বর্তমান পরিস্থিতিতে দূষণের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় বৃক্ষরোপণ। আমাদের মহাবিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ যেভাবে বৃক্ষরোপণ করে চলেছে তাতে আমি খুব খুশি। আশাকরি আমাদের দেখে এলাকাবাসীরা বৃক্ষরোপণ করতে এগিয়ে আসবে।
গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বলেন – এইভাবে যদি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে তাহলে অচিরেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে। কর্তৃপক্ষ চাইলে অবশ্যই আমরা গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেব। তিনি ফলের গাছ রোপণ করার প্রস্তাব দেন।