eaibanglai
Homeএই বাংলায়জাতিগত শংসাপত্র পেল উপভোক্তারা

জাতিগত শংসাপত্র পেল উপভোক্তারা

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- একশ্রেণির ফাঁকিবাজ সরকারি কর্মচারির সৌজন্যে জাতিগত শংসাপত্র, র‍্যাশন কার্ড সংশোধন সহ বেশ কিছু স্বাভাবিক পরিষেবা থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ছিল সাধারণ মানুষ। পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। প্রতিটি শিবিরে ভিড় ফাঁকির মাত্রার ইঙ্গিত বহন করে। প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করার পরেও বেশ কিছু পরিষেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত ছিল সাধারণ মানুষ।

সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে গত ১লা এপ্রিল থেকে অভিনব ঢঙে শুরু হয় ষষ্ঠ দফার ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। ঠিক হয় প্রথম ১০ দিন আবেদন পত্র গ্রহণ করা হবে এবং পরবর্তী ১০ দিন আবেদন পত্রগুলি পরীক্ষা করে পরিষেবা প্রদান করা হবে। পরে সেটা ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা যে নিছক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছিলনা তার প্রমাণ রাখল গুসকরা পুরসভা। গত ২০ শে এপ্রিল পূর্ব ঘোষণামত পুরসভার পক্ষ থেকে ২৫ জন প্রাপকের হাতে জাতিগত এসসি ও এসটি শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। সেগুলি তাদের হাতে তুলে দেন পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী ও ৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর টিপু মালিক। জাতিগত শংসাপত্র পেয়ে উপভোক্তারা খুব খুশি।

উপভোক্তাদের অন্যতম আকাশ তুড়ি বললেন – দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত শংসাপত্র না পাওয়ার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলাম। অবশেষে সেগুলি হাতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে। এরজন্য উপভোক্তারা পুরসভার চেয়ারম্যানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান বললেন – আমাদের সরকারের লক্ষ্য প্রতিটি মানুষের হাতে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। তার জন্যেই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প শিবির শুরু করেন। আমরা তার নির্দেশ মেনে উপভোক্তাদের হাতে জাতিগত শংসাপত্র তুলে দিতে পেরে খুব খুশি। এরজন্য আমাদের কাউন্সিলর ও অফিসের কর্মীদের ত‍ৎপরতা প্রশংসার দাবি রাখে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments