জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- ‘নবজাতকের কাছে’ কিশোর কবির ‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য’ করার ‘দৃঢ় অঙ্গীকার’ থাকলেও একদল মুনাফালোভী ও অসচেতন বিবেকহীন মানুষের সৌজন্যে ধীরে ধীরে আমাদের সাধের পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের দূষণ সমাজজীবনকে শেষ করে দিচ্ছে। জীবজগতের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার মুখে। কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠিকে গেছে। দেরিতে হলেও অবশেষে সাধারণ মানুষ পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরেছে। পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন করতে তারা অভিযানে নেমেছে।
সমগ্র দেশের সঙ্গে ১ লা অক্টোবর গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে পালিত হলো স্বচ্ছ ভারত অভিযান মিশন। বিএইচএম মিলন রায় ও অধ্যাপক চিন্ময় ঘোষের নেতৃত্বে এনসিসি -র ৫০/৬ সিওওয়াই এর ক্যাডেটরা এই অভিযানে অংশ গ্রহণ করে। অভিযানের অঙ্গ হিসাবে তারা বেছে নেয় মহাবিদ্যালয় চত্বর ও সংলগ্ন শহরের বেশ কিছুটা অংশটা।
ক্যাডেটরা সংশ্লিষ্ট এলাকার যত্রতত্র ফেলে রাখা আবর্জনা নির্দিষ্ট পাত্রে সংগ্রহ করতে থাকে। একইসঙ্গে স্থানীয় দোকানদার ও জনগণকে স্বচ্ছতার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করে। প্লাস্টিকজাতীয় দ্রব্য ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে জনগণকে তারা সচেতন করার চেষ্টা করে। যদিও বৃষ্টিপাত জনিত কারণে তাদের এই অভিযান কিছুটা ব্যহত হয়।
অন্যান্যদের সঙ্গে শুভাশিষ, সুদীপ, অনির্বাণ, অন্তরা, স্বরূপ, সুকন্যা, মলি প্রমুখ ক্যাডেট এই অভিযানে অংশগ্রহণ করে। স্বচ্ছতা অভিযানে তাদের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়।
অধ্যাপক ঘোষ বললেন – অধ্যক্ষের পরামর্শে আমাদের এনসিসি ইউনিটের পক্ষ থেকে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মসূচি পালন করে থাকি। এই স্বচ্ছতা অভিযান তারই একটি অঙ্গ। পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আগামী দিনেও আমরা এই কর্মসূচি পালন করব।
অন্যদিকে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বললেন – পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এই স্বচ্ছতা অভিযান একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি। আমাদের মহাবিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক সহ ছাত্রছাত্রীরা সচেতন আছে এবং যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলে। তিনি আরও বললেন – আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী দিনে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা সহ সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে আরও বড় আকারে এই কর্মসূচি পালন করা। আশাকরি এরফলে সমাজের কাছে একটা সুস্পষ্ট বার্তা যাবে।