জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী:- প্রাণের শহর গুসকরাকে পরিচ্ছন্ন রাখার তাগিদে সকাল হতে না হতেই দেখা যায় পৌরসভার সাফাই কর্মীরা বেরিয়ে পড়েছে। বাঁশি বাজাতে বাজাতে বাড়ির দরজায় হাজির হয়ে যাচ্ছে পৌরসভার ময়লা ফেলার গাড়ি। প্রায়শই এককভাবে নিজ নিজ ওয়ার্ড পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররা দলবদ্ধভাবে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে হাত লাগান। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে গুসকরা পৌরসভার পক্ষ থেকে গত ১২ ই জানুয়ারি স্বামীজীর ১৬২ তম জন্মদিনটিকে ‘স্বচ্ছতা দিবস’ হিসাবে পালন করা হয় এবং বেছে নেওয়া হয় শহরের ডাম্পিং গ্রাউণ্ড হিসেবে পরিচিত রটন্তী কালীতলা এলাকাটিকে। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ প্রায় প্রতিটি কাউন্সিলার, শহর তৃণমূল সভাপতি, যুব সভাপতি ও মহিলা সভানেত্রী, জেলা সহ সভানেত্রী সহ পৌরসভার অধিকাংশ কর্মী, ‘সুডা’র কর্মী, সাফাই কর্মী এবং অনেক স্থানীয় মানুষ হাতে গ্লাভস পড়ে ও মুখে মাস্ক বেঁধে কার্যত পিকনিকের মুডে এই স্বচ্ছতা অভিযানে সামিল হয়। তারপর সেখানে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়ে ও ছড়িয়ে থাকা আবর্জনাগুলি বস্তাবন্দী করে দূরে সরিয়ে রাখে।
এর আগে স্বামীজীর প্রতিকৃতিকে সামনে রেখে পৌরসভার সামনে থেকে একটি পদযাত্রা বের হয় এবং স্কুলমোড় হয়ে সেটি রটন্তী তলায় এসে পৌঁছায়। সেখানে চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা স্বামীজীর গলায় মাল্যদান করেন এবং বিভিন্ন বক্তা আজকের দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। তবে পরিচ্ছন্নতার সময় হাওয়াতে যেভাবে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ উড়ছিল তাতে এই স্বচ্ছতা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য কতটা পূরণ হবে সেই বিষয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী বলেন – প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের বিষয়ে আমরা বারবার গুসকরাবাসীদের সচেতন করার চেষ্টা করি। অবশ্যই তাদের প্রত্যেককেই সচেতন নাগরিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন – এই অভিযান তাৎক্ষণিক নয়, নিয়মিত শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চলে। আমরা নিজেরাও এই কাজে সামিল হই। শহরবাসীর কাছে তার আবেদন – সামনে রটন্তী কালী পুজো ও গুসকরা উৎসব। শহরের বাইরে থেকে বহু মানুষ তখন এখানে আসবে। তাদের কাছে যাতে শহরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন নাহয় তারজন্য সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। মাথায় রাখতে হবে এই শহর আমাদের সবার।