জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- সস্তা ইণ্টারনেটের দৌলতে স্মার্টফোনে বুঁদ হয়ে আছে বর্তমান প্রজন্ম। ড্রাগের নেশার থেকেও ভয়ংকর এই নেশায় আক্রান্ত যুব সমাজ ভুলে গ্যাছে বিকেল বেলায় খেলার মাঠে যাওয়ার আনন্দ। অভিভাবকরা নিজের ছেলেমেয়েদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করার লক্ষ্যে অল্প বয়স থেকে তাদের নামিয়ে দিচ্ছে ‘র্যাট রেসে’। চারদেওয়ালের মধ্যে আটকে থেকে তাদের সঙ্গী হয়ে উঠছে বইখাতা। ফলস্বরূপ শরীর চর্চা থেকে দূরে থাকা ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। একাকিত্ব গ্রাস করছে তাদের। এইসব ছেলেমেয়েদের মাঠমুখী করার লক্ষ্যে এগিয়ে এল গুসকরা বিষাণ অ্যাথলেটিক ক্লাব। যদিও তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রচেষ্টা বজায় রেখেছে।
১৭ ই মে গুসকরা পি পি ইন্সটিটিউশন ময়দানে প্রায় ষাট জন ক্রিকেট শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট ক্লাব নিজেদের পরিচালিত ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবিরকে আধুনিক রূপ দিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করল। ক্লাব সূত্রে জানা যাচ্ছে স্থানীয় বিশিষ্ট প্রাক্তন ক্রিকেটাররা শিবিরের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেবে। মাঝে মাঝে বিখ্যাত কোনো ক্রিকেটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এখানে আসবেন। ক্লাব কর্মকর্তাদের মূল লক্ষ্য হলো এখানকার শিক্ষার্থীরা যাতে জেলা ও রাজ্য পর্যায়ে সুযোগ পায় সেদিকে নজর দেওয়া।
উপস্থিত ছিলেন গুসকরা বিট হাউসের ওসি নীতু সিং, কাউন্সিলর সুব্রত শ্যাম, পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ক্রিকেট প্রেমী মানুষ এবং ক্লাবের কর্মকর্তারা।
ক্লাব সম্পাদক সৌগত গুপ্ত বললেন – দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ক্রিকেট অ্যাকেডেমি আছে। এবার সেটাকে আমরা আধুনিক রূপ দিলাম। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিট হাউসের ওসি সহ প্রত্যেকের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নীতু দেবী বললেন – এতগুলো বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের খেলার মাঠে দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগছে। সুযোগ পেলে এদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে খেলার মাঠে আসার চেষ্টা করব। অভিভাবকদের তিনি খেলার মাঠে আসার জন্য অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে কুশল বাবু বললেন – ভাল কাজে আমি সবসময় এদের পাশে আছি। বিষাণ ক্লাবের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। আশাকরি ছেলেমেয়েরা নিয়মিত খেলার মাঠে আসবে এবং শরীরচর্চা করবে। এতে ব্যক্তিগতভাবে তারা উপকৃত হবে।