জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- জনপ্রতিনিধি ও জনসংযোগ – এই দুই শব্দ বন্ধনীর মধ্যে সম্পর্কটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সংসদীয় গণতন্ত্রে জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে ও পরে এলাকার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্হাপন খুবই জরুরি। কারণ বিভিন্ন প্রয়োজনে এলাকার মানুষ তাদের জনপ্রতিনিধির কাছে আসে। তিনি যদি আবার বিশেষ দায়িত্বে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে নিজের এলাকার বাইরে অন্য এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিও দায়িত্ব পালন করতে হয়। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গুসকরা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগমের ক্ষেত্রে।
তিনি পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং ভাইস চেয়ারম্যান। ফলে দায়িত্বটা যথেষ্ট বেশি। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার জন্য সাধারণ মানুষ এবং তিনি অর্থাৎ উভয় পক্ষ চরম সমস্যায় পড়ত। সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার ছিল একটা অফিস বা কার্যালয়। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান হলো।
স্হানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, শহর তৃণমূল সভাপতি দেবব্রত শ্যাম ও যুব সভাপতি কার্তিক পাঁজা, শহর মহিলা সভানেত্রী নন্দিতা গাঙ্গুলি, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সেখ নয়ন ও পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের অসংখ্য দলীয় কর্মীর উপস্থিতিতে পথ চলা শুরু হলো দলীয় কার্যালয়ের। এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে ফিতে কেটে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন স্হানীয় বিধায়ক। তাকে সহযোগিতা করেন পুরসভার চেয়ারম্যান। আজকের অনুষ্ঠানে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
বিধায়ক বলেন – এই কার্যালয় গড়ে ওঠার ফলে এলাকার মানুষ তাদের সমস্যা জানানোর জন্য একটা জায়গা পাবে। ফলে পরিষেবা পেতে তাদের সুবিধা হবে।
চেয়ারম্যান বললেন – আমাদের লক্ষ্য মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের হয়রানি বন্ধ করা। এই কার্যালয় গড়ে ওঠার ফলে মানুষের সুবিধা হবে।
অন্যদিকে বেলী দেবী বললেন – এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে এই কার্যালয় গড়ে তোলা হলো। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি স্হানীয় বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান সহ সমস্ত স্তরের দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।