জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- আবার মাধ্যমিকের মত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালো তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং ছাত্রসমাজের প্রতি নিজেদের দায়িত্ববোধ প্রমাণ করল। তবে শুধু জলের বোতল বা কলম নিয়ে নয় নিজেদের কর্মের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে তারা ‘মে উই হেল্প ইউ’ বাক্য বন্ধনীর মর্যাদাও রাখল।
গত ১৪ ই মার্চ শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। গুসকরা পুর এলাকার তিনটি বিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র হয়েছে। প্রথম দিন টিএমসিপির সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয় জলের বোতল। মোটামুটি সবকিছু নির্বিঘ্নে হয়। বিপত্তি ঘটে দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৬ ই মার্চ।
নিজেরা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে পুর এলাকার তিনটি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল টিএমসিপির সদস্যরা। যেমন সুশীলার বিদ্যালয়ে ছিল গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ক্রীড়া সম্পাদক সুমন যশ, শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌম্যদীপ চ্যাটার্জ্জী ছাড়াও অর্পণাদিত্য, রাহুল, সৈকত, দীনবন্ধু, বাবান প্রমুখরা। হঠাৎ দ্যাখা যায় গুসকরা হাটতলার বাসিন্দা জনৈকা পাপিয়া আঁকুরে হন্তদন্ত হয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে বেরিয়ে আসছে। তাকে খুব উদ্বিগ্ন লাগছিল। জানা যায় তার অভিভাবক তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে চলে গ্যাছে। এদিকে ভুল করে বাড়িতে অ্যাডমিট কার্ড ফেলে এসেছে। বাড়িতে ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করছেনা। ফলে সে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করে দলের সদস্য রাহুল পাল মেয়েটিকে নিয়ে তার বাড়িতে হাজির হয় এবং অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। ফলে মেয়েটির পরীক্ষা দিতে সমস্যা হয়নি।
‘দাদা’দের ধন্যবাদ জানিয়ে পাপিয়া বলল – ওরা যদি না থাকত আমি খুব সমস্যায় পড়ে যেতাম। হয়তো পরীক্ষা দিতে পারতাম না। সারা বছরের পরিশ্রম নষ্ট হয়ে যেত। তবে আগামী দিনে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সতর্ক থাকব।
ছোট ছোট ভাইদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন সুমন যশ। তিনি বললেন- ওদের দায়িত্ব পালন করতে দেখে খুব ভাল লাগল। আমি চাই আগামী দিনগুলোতে ওরা এভাবেই পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকুক।