সঙ্গীতা মুখার্জ্জী মণ্ডল, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান-: যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে রজত জয়ন্তী বা সুবর্ণ জয়ন্তী একটা আলাদা তাৎপর্য বহন করে আনে। হীরক জয়ন্তী হলে সেই তাৎপর্যের মাধুর্য আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে যায়। আবার সেটা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে উৎসব পরিণত হয় পুনর্মিলন উৎসবে। বয়স অনেক কিছু কেড়ে নিলেও মুহূর্তের জন্য প্রবীণরা ফিরে পান ফেলে আসা ছাত্র জীবনকে। শিশুসুলভ আনন্দে মেতে ওঠেন ওরা। স্মৃতিচারণের সঙ্গে সঙ্গে বেঞ্চিতে লিখে আসা নাম খোঁজার চেষ্টা করেন। তারা ভুলে যান আজ তাদের সেই স্থান দখল করেছে ওদের সন্তান-সন্ততি অথবা নাতি-নাতনিরা। সব মিলিয়ে এক অসাধারণ পরিবেশের সাক্ষী থাকার সুযোগ পায় বর্তমান প্রজন্ম। যেমন হীরক জয়ন্তীর আলোকে সেই সুযোগ পেল গুসকরা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ।
হীরক জয়ন্তীকে স্মরণীয় করে তুলতে বর্ষব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে গুসকরা মহাবিদ্যালয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের উপর সেমিনারের পাশাপাশি রক্তদান শিবির, বৃক্ষরোপণ উৎসব ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। ৬ ই ডিসেম্বর আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে উপস্থিত অতিথিদের বরণ করা হয়। পরে অতিথিদের প্রদীপ প্রজ্বলনের পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত সঙ্গীতের তালে পৌলীমা, অঙ্কিতা, সুতৃষ্ণা, তৃষ্ণা মীনাক্ষী, পৃথা প্রমুখদের পরিবেশিত নৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করে। মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গুসকরা শহরে একটি র্যালি বের হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে স্থাপিত মনীদের গলায় মাল্যদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রবীন গুপ্ত ও ড.স্বপন কুমার পান, ড.সুজিত কুমার চৌধুরী, ড. মৃণালকান্তি চ্যাটার্জি, ড. রূপশ্রী চ্যাটার্জি, জীবন চৌধুরী, বর্তমান অধ্যক্ষ ড.সুদীপ চ্যাটার্জি এবং গুসকরা পুরসভার কাউন্সিলার সুব্রত শ্যাম, যমুনা শিকারী ও ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগম সহ আরও অনেকেই।
রবীন বাবুর বক্তব্যে মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাহিনী উঠে আসে। অন্যদিকে তার দীর্ঘ বক্তব্যে ড.পান অধ্যক্ষ থাকাকালীন তার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শিক্ষা বিষয়ক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।
স্বাগত ভাষণে মহাবিদ্যালয়ের বর্তমান অধ্যক্ষ ড.সুদীপ চ্যাটার্জি উপস্থিত থাকার জন্য অতিথিদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।