eaibanglai
Homeএই বাংলায়রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যায় মেতে উঠল গুসকরাবাসী

রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যায় মেতে উঠল গুসকরাবাসী

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান-: যে দু’জনকে বাদ দিলে বাংলা কাব্যচর্চা অসম্পূর্ণ থেকে যায় তাদের একজন হলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং অপরজন বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম। আমাদের শয়নে, স্বপনে, জাগরণে প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন রবীন্দ্রনাথ বিরাজমান, তেমনি অপরজন ভেঙে পড়া বাঙালিকে শোনালেন চেতনা জাগ্রত করার গান। কলম হয়ে উঠল দু’জনের বিপ্লবের হাতিয়ার। প্রথম জন পৃথিবীতে এসেছিলেন ১৬৫ বছর আগে এবং দ্বিতীয় জন ১২৭ বছর আগে। তবুও আজও ‘সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনায় নজরুল’ চির অমলিন হয়ে আছেন। বাঙালির অস্তিত্ব যতদিন এই পৃথিবীতে থাকবে ততদিন এর কোনোরকম ব্যতিক্রম ঘটবেনা। তারই নমুনা পাওয়া গেল গুসকরা পুরসভা আয়োজিত ‘রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা’য়।

গুসকরা পুরসভার উদ্যোগে গত ৫ ই জুন গুসকরা বিদ্যাসাগর হলের সামনের অংশে এই দুই মহান বাঙালির স্মরণে একটি ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মনে সংশয় থাকলেও দর্শকদের উপস্থিতি সাংস্কৃতির প্রতি গুসকরাবাসীর আগ্রহ প্রমাণ করে দেয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নৃত্য ও সঙ্গীত শিল্পীরা এসে উপস্থিত হন।

‘আনন্দ কণা’- ক্ষুদে শিল্পীদের পরিবেশিত উদ্বোধনী সঙ্গীত অনুষ্ঠানের সুর বেঁধে দেয়। সেই রেশ টেনে নিয়ে যায় পরবর্তী শিল্পীরা। প্রত্যেকের পরিবেশিত সঙ্গীত ও নৃত্য উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। উদ্ভট ডিজের যুগে রবীন্দ্রনাথ-নজরুল যে আজও প্রাসঙ্গিক তার প্রমাণ পাওয়া গেল এই অনুষ্ঠানে।

উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে একদিন যারা দেশমাতাকে রক্ষা করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন গুসকরার এরকম প্রায় ২৫ জন প্রাক্তন সেনা জওয়ানকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি এবছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করেছে এরকম ৮ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বই।

এর আগে স্বাগত ভাষণে এই দুই মহান ব্যক্তিত্ব বাংলার কাব্যজগতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি তুলে ধরেন উপ-পুরপ্রধান বেলী বেগম। নিজেদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই দিনটি পালনের তাৎপর্য ব্যখ্যা করেন স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার ও পুরপ্রধান কুশল মুখার্জ্জী। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাঁকিয়ে তাদের প্রতি সম্মাননা জ্ঞাপন করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও সাধারণ মানুষ।

পুরপ্রধান বলেন, বিভিন্ন কারণে ধীরে ধীরে বর্তমান প্রজন্ম সাংস্কৃতিক জগত থেকে সরে যাচ্ছে। তাদের আবার মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ। শহরবাসীর দাবি মেনে আগামীদিনে আমরা এইধরনের আরও অনুষ্ঠানের আয়োজন করার চেষ্টা করব।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় পরিচালনা করেন গুসকরা সাংস্কৃতিক জগতের দুই নক্ষত্র মধুসূদন পাল ও সুব্রত শ্যাম। সবমিলিয়ে এক মধুর সন্ধ্যার সাক্ষী থাকার সুযোগ পান গুসকরাবাসী।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments