জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, পূর্ব বর্ধমান-: বিষাক্ত সাপ যাকে দংশন করেছে একমাত্র সেই বিষের জ্বালা বোঝে। ঠিক তেমনি যার থ্যালাসামিয়া হয়েছে একমাত্র সেই বুঝতে পারে বেঁচে থাকার জন্য তার জীবনে একফোঁটা রক্ত কতটা জরুরি। একদিন তার জন্য রক্তের খোঁজে তার পরিবারের সদস্যদের হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াতে হয়েছে। তারমত অন্যরা যাতে সমস্যায় না পড়ে তার জন্য গত ছ’বছর ধরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে চলেছেন থ্যালাসামিয়ায় আক্রান্ত গুসকরা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অমৃত যশ।
তার উদ্যোগে ২৪ শে মে গুসকরা স্কুলমোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। বর্ধমানের ‘শহীদ শিবশংকর সেবা সমিতি’-র ‘রশ্মি ব্লাড ব্যাংক’ শাখা শিবির থেকে ৬৪ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করে। এদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ছিলেন। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বরাবরের মত এবারও অমৃত বাবুর পাশে ছিলেন পিণ্টু, মনোজ, বাপ্পা, মফিজুল, অরূপ, জগন্নাথ, সুমন, জয়দেব প্রমুখ। এদের অধিকাংশ পেশায় রঙ মিস্ত্রি।
অমৃত বাবু বললেন, আমি নিজে একজন থ্যালাসামিয়া রুগী। তাই সমস্যাটা বুঝি। এদের জীবনে রক্ত কতটা প্রয়োজন আমি জানি। তাই আমি গত ছ’বছর ধরে এই শিবিরের আয়োজন করে চলেছি। প্রতিবারের মত যারা এবারও এই রক্তদান শিবিরকে সফল করে তোলার জন্য আমার পাশে ছিলেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।





