নীহারিকা মুখার্জ্জী,হুগলিঃ- দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চলছে ‘৩৮ তম জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ’ পালন। প্রথামাফিক গত ২৫শে আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি, চলবে ৫ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। লক্ষ্য হলো ধর্মীয় কুসংস্কার ও মরণোত্তর চক্ষুদান সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং মরণোত্তর চক্ষুদান করার বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করা।
গত ২৭শে আগষ্ট হুগলির হরিপালের ‘এসো বন্ধু হই’ সংস্থার উদ্যোগে এলাকায় একটি সচেতনতা মূলক পদযাত্রা বের হয়। স্থানীয় গোপিনগর প্রাইমারি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয় এবং প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে পদযাত্রা শেষ হয় চৌধুরী পাড়া মোড়ে। শতাধিক মানুষ এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। তাদের হাতে ছিল সচেতনতামূলক প্রচার সমৃদ্ধ প্লাকার্ড।
পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায়। রাস্তার দু’পাশে তাদের ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা মরণোত্তর চক্ষুদান করার বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করে।
‘এসো বন্ধু হই’ সংস্থা প্রধান উদ্যোক্তা হলেও স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংস্থার সদস্যরা এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। ‘রাজবলহাট কালচারাল সার্কেল’-এর পক্ষ থেকে পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সুরজিৎ শীল, প্রসাদ ঘোষ, অধ্যাপক ডঃ মৈনাক কুমার দে, নাট্যব্যক্তিত্ব অশোক রায়, দিলীপ দে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ডাঃ পল্লব দে, ডাঃ সুশান্ত পাল, সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রঞ্জিতা কুন্ডু সহ অসংখ্য সমাজসচেন ব্যক্তিত্ব।
অন্যদিকে ‘এসো বন্ধু হই’ এর পক্ষ থেকে ছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অন্বয় দে, দেবাশীষ দে, গৌতম সাহা, শুভাশীষ রায়, ঋতুপর্ণা দাস, মলয় বিশ্বাস, অমর রায়, স্পন্দিতা দে সহ আরও অনেকে।
অন্বয় বাবু বললেন – প্রচারের অভাবের জন্য মরণোত্তর চক্ষুদান করার বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে। একইসঙ্গে আছে কুসংস্কার। সেটা দূর করার জন্য আমরা গত কয়েক বছর ধরে কাজ করে চলেছি। আশাকরি ধীরে ধীরে আমাদের উদ্যোগ সফল হবে এবং অনেক মানুষ মরণোত্তর চক্ষুদান করার ব্যাপারে উৎসাহি হবে। তিনি আরও বললেন – ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন মরণোত্তর চক্ষুদান করার ব্যাপারে মৌখিকভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা অঙ্গীকার পত্রে সাক্ষর করবে।