eaibanglai
Homeএই বাংলায়হার্টকে সুস্থ রাখতে কী করবেন? হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

হার্টকে সুস্থ রাখতে কী করবেন? হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

সঙ্গীতা চ্যাটার্জীঃ- বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনেকেই হার্টের সমস্যা দেখা যাচ্ছে, কোথাও কিছু নেই অনেকেই হুটহাট হার্টের রোগে মারা যাচ্ছেন, হার্টের রোগের সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি আমরা কথা বলেছি কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল হসপিটালের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চন্দন মিশ্রের সাথে। এই বাংলা কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডাক্তারবাবু জানিয়েছেন কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে হার্ট কে সুস্থ রাখা যায়।

১। প্রশ্ন: শরীরে পটাশিয়াম বা সোডিয়াম বেড়ে গেলে হাটের ক্ষতি হয়, সে ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি লাইফ স্টাইলে কোন ভাবে চেঞ্জের মাধ্যমে কি পটাশিয়াম সোডিয়াম কম করা যায়?

ডাক্তার চন্দন মিশ্র: -আমাদের শরীরে পটাশিয়ামের দরকার আছে, মোটামুটি চার হাজার পাঁচশ মিলিগ্রাম মতো পটাশিয়ামের দরকার হয় আমরা যে সকল শাকসবজি খায় তার মধ্যে এই অভাব পূরণ হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু কারণে পটাশিয়াম বেড়ে যেতে পারে, কিডনি ঘটিত রোগ বা জন্মগত কোন ডিজিজ থাকলে পটাশিয়াম বেড়ে যায়, এছাড়া কিছু ওষুধ আছে যেগুলো সাইড এফেক্টেড পটাশিয়াম বেড়ে যায়, পটাশিয়াম বাড়লে তার জন্য ওষুধ অবশ্যই আছে এ ছাড়া কতগুলো খাদ্য আছে যেগুলোতে পটাশিয়ামের লেভেল কম আছে,যেমন,আপেল, নাশপাতি, বেদানা,শশা, ব্লু বেরি, ব্লাকবেরি এগুলো খাওয়া যেতে পারে। সবজির মধ্যে বিনস,ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে পটাশিয়াম এর পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু মৌসাম্বী,কলা,ডাব-এগুলোতে পটাশিয়াম বেশি থাকে কিছু প্রসেস ফুডে পটাশিয়াম বেশি থাকে সেগুলো এভোয়েড করতে হবে। তবে এর পাশাপাশি কিছু ওষুধ আছে সেগুলো ও খেতে হবে। আর একটা কথা যদি কারোর হঠাৎ কোনো কারণে পটাশিয়াম বেড়ে না যায় তাহলে কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল খাওয়ার কোন যুক্তি নেই কারণ আমাদের শরীরের জন্য পটাশিয়াম জরুরী।

২।প্রশ্ন: হার্ট ভালো রাখতে এমন কি কিছু লাইফ স্টাইল বা ব্যায়াম আছে যেটা মানুষ করতে পারেন?

ডাক্তার চন্দন মিশ্র:– হার্ট ভালো রাখার জন্য অ্যারোবিক এক্সারসাইজ বা কার্ডিও যেগুলোকে বলি ,সেগুলো করা যেতে পারে,আসলে সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে মোট ১৫০ মিনিট এক্সারসাইজ করা উচিত। এই ধরুন জগিং, সুইমিং, সাইকেলিং এই গুলো করা যেতে পারে। এ ছাড়া যাদের হার্টের রোগ নেই বা কিছু নেই তারা মডারেট ওয়েট লিফটিং করতে পারেন। আর হ্যাঁ, বয়স ও হাইট অনুযায়ী বডি ওয়েটটা কম রাখা উচিত। কারণ ওজনটাকে ঠিক না রাখলে হার্টের উপর চাপ পরতে পারে। এছাড়া হার্ট ভালো রাখার জন্য স্মোকিং বা অ্যালকোহল এ গুলো এভোয়েড করা উচিত, এ ছাড়া হার্ট হেলদি ডায়েট যেমন ফ্রুড, শাকসবজি, খাওয়ার পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত খাবার এভোয়েড করা,লবন কম খাওয়া উচিত,যাদের প্রেসার সুগার আছে তাদের সেগুলো মেন্টেন রাখা উচিত এবং ৪০ বছরের পর বছর একবার ইসিজি করা উচিত এবং হার্টের অন্যান্য পরীক্ষাগুলো করে চেক করে নেওয়া উচিত।

৩।প্রশ্ন: বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের হার্ট অ্যাটাক এর কারণ কী?

ডাক্তার চন্দন মিশ্র:- এখন কম বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের একটা প্রবণতা দেখা দিচ্ছে, এর মেইন কারণ হচ্ছে অনিদ্রা। দিনে অন্তত ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো দরকার, ৮ ঘন্টা হলে ভালো হয় আর চিন্তাটাকে যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখা উচিত। এছাড়া স্মোকিং করা ও কম কায়িক পরিশ্রম টাও একটা কারণ।

প্রশ্ন: টেনশন থেকে বা উত্তেজনা থেকে বুক ধড়ফড় করা আর হার্টের রোগের থেকে বুক ধড়ফড় করা দুটোর মধ্যে পার্থক্য কী?

ডাক্তার চন্দন মিশ্র:– অনেক সময় দেখা যায় চিন্তার কারণে মানুষের অনেক সময় বুক ধড়ফড় করে ,বুকে ব্যথা করে। এই বুক ধড়ফড় যে ব্যাপারটা, এটা দুটো কারণে হয়, কখনো হয় টেনশন থেকে, কখনো হয় হার্টের কারনে। হার্টের থেকে যদি বুক ব্যথা হয় তাহলে এই বুক ধড়পড়ানি টা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং তার সাথে বুকে ব্যথা হয়। বুকের ব্যাথার একটা প্যাটার্ন থাকবে হাতের দিকে রেডিয়েট করবে আর এই ব্যথাটা এমনই অসহ্যকর হবে মনে হবে যেন মরে গেলাম। যেটা টেনশনের জন্য হয়, সেটা সাধারণত বারবার হয়, অল্প সময় থাকে এবং স্ট্রেসটা থেকে এই জিনিস টা হয়। কিন্তু হার্টের সমস্যা হলে আগে বুক ধড়পাড়ানি হয় পরে স্ট্রেস হয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments