সঙ্গীতা চৌধুরী,হুগলিঃ- যেই কৃষ্ণ, সেই কালী-এই তত্ত্ব কথায় সার্থক রূপ পেয়েছে নালিকুলের অধিকারী পাড়ার সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরে। ঘোর বৈষ্ণব পরিবারে মায়ের এই বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার আগে বিগ্রহপ্রতিষ্ঠতা সাধক পুরুষ বটকৃষ্ণ অধিকারী দেখেন, মা কালী এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এক দেহে মিশে যাচ্ছেন, তারপর ধারণ করছেন এক নারী মূর্তি, সেই মূর্তি মা কালীর হলেও মায়ের গাত্রবর্ণ এখানে দুর্বা ঘাসের মত সবুজ। বর্তমানে এই মন্দিরে প্রধান সেবায়ত হলেন বটকৃষ্ণ অধিকারীর সুযোগ্য পুত্র কালীপদ অধিকারী, রোজ তিনিই মায়ের সেবা করেন।
গতকাল ২৭ নভেম্বর,২০২৩ নালিকুলের সবুজ কালী মায়ের মন্দিরে রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে হোম যজ্ঞ হয়। এই শুভ তিথিতে মায়ের পুজো ও হোম যজ্ঞ করেন কালীপদ অধিকারী,তারপর আগত ভক্তদের মধ্যে মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হয়, এমনকি রাস পূর্ণিমার শুভ তিথিতে এইদিন কালীপদ অধিকারী আগত ভক্তদের দীক্ষাও দিয়েছেন।
সাধক পুরুষ বট কৃষ্ণ অধিকারীর সুযোগ্য পুত্র কালীপদ অধিকারীও বিরাচারী সাধক। আজও লোক চক্ষুর অন্তরালে থেকে তিনি সাধনা করে যান। আগত ভক্তদের মধ্যে জনৈকের কথায় তাই যেমন ফুটে ওঠে সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মহিমা তেমনি গুরু বাবার আধ্যাত্মিক শক্তির কথাও প্রকাশিত হয়।
এখানে আগত জনৈক ভক্তের কথায়,“বহু বছর ধরে এখানে আসি, মায়ের এই মন্দিরে এলে মনের শান্তি খুঁজে পাই আর গুরু বাবার (কালীপদ অধিকারীর) সাথে কথা বললে বুঝতে পারি গুরু আসলে কেমন হয়! উনি আমাদের যাবতীয় চিন্তা থেকে মুক্ত করেন নিমেষেই।ওনার মধ্যে একটা আধ্যাত্মিক শক্তি আছে, যেটা উনি কাউকে বুঝতে দেন না, কিন্তু যারা ওনার কাছে আসেন,তারা ওনাকে অনুভব করতে পারেন,তাই তো এখানে আসা,মায়ের কাছে আসা,গুরু বাবার আশ্রয়ে আসা”