eaibanglai
Homeএই বাংলায়"কার পকেটে শ্বশুর-শাশুড়ির ছবি?" সবাইকে অবাক করে মঞ্চে উঠে এলেন গৃহবধূ

“কার পকেটে শ্বশুর-শাশুড়ির ছবি?” সবাইকে অবাক করে মঞ্চে উঠে এলেন গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর:- মাইক্রো ফ্যামিলির যুগে থিমসঙ যখন নচিকেতার “বৃদ্ধাশ্রম” সেই সময়েই দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর বি-জোন সাক্ষী থাকলো অবিশ্বাস্য এক ঘটনার।

পুত্রবধূর পার্সে সযত্নে রাখা শ্বশুর-শাশুড়ির ছবি। যা দেখে একটি কালী পূজোর প্যান্ডেলে রীতিমত হতবাক সকলে। দফায় দফায় ওই পুত্রবধূর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই।

বি-জোনের মহিষকাপুর আমতলা ক্লাবের কালীপুজো। সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয়েছিল একটি জলসার। মূলত পাড়ারই ছেলে মেয়েরা তাতে অংশ নেয়। সেখানেই আয়োজন হয় একটি কুইজ প্রতিযোগিতারও। সকলকে অবাক করে দিয়ে ক্যুইজ মাস্টার উপস্থিত প্রায় সাড়ে তিনশ দর্শককে উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন “যার কাছে এই মুহূর্তে তার নিজের শ্বশুর-শাশুড়ির ছবি আছে, তিনি দয়া করে মঞ্চে উঠে আসুন”। কুইজ মাস্টারের এই ঘোষণায় অস্বস্তিতে পড়েন সকলেই, কারণ এমনটা তো সাধারণভাবে হওয়ার নয়। প্রশ্ন শুনে সবাই যখন মুখ চাওয়া চাওয়ি করছেন, তখন ধীরে ধীরে মঞ্চে উঠে এলেন মহিষকাপুরেরই গৃহবধূ মিতালী বিশ্বাস। তিনি তার পার্স থেকে বের করলেন শ্বশুর-শাশুড়ির ফটো।
কুইজ মাস্টার সেই ছবি দুটি জনতার উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।

মিতালী বিশ্বাসের এমন কাণ্ডে হতবাক সকলেই। অনুষ্ঠানের ফাঁকেই তিনি বললেন বিয়ের পর এ বাড়িতে আসি। আমার বিয়ের পর থেকেই ওনাদের ব্যবহার, আপন করে নেওয়ার যে স্নেহ-ভালোবাসা তাতে আমি বিস্মিত হয়ে যাই। কারন শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে অন্য রকমের কথা শুনতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু আমার জীবনে ওনারা দেবতার মতো। তাই সব সময় সঙ্গে রাখি ওনাদের ফটো। মহিষকাপুর আমতলা পুজো কমিটির সচিব স্নেহাশিস পাল জানান তাদের এলাকাতে এইরকম গৃহবধুকে পেয়ে তারা গর্বিত।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments