নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া:- গতকাল বেলিয়াতোড় থানার রাধাবাজার এলাকায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন হলেন মামনি মন্ডল নামে(৩৫)এক মহিলা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উত্তম মন্ডলের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মামনি মন্ডল, গত ১০ বছর ধরে বেলিয়াতোড় থানার রাধাবাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাকে বিবাহও করে ছিলেন উত্তম মন্ডল। তিনি পেশায় গাড়ি চালক। উত্তম মন্ডলের প্রথম পক্ষের স্ত্রী মিঠু মন্ডল ৪০ বছর বয়স ও তার ছেলে অজয় মণ্ডল ১৮ বছর বয়স ও মিঠু মন্ডলের ভাই গোবিন্দ মন্ডল ৪৫ বছর বয়স। তাদের বাড়ি গঙ্গাজলঘাটি থানার পাবড়াডিহী গ্রামে। উত্তম মন্ডলের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বনিবনা ছিল না। তারপরে গত দশ বছর ধরে মামনি মন্ডল কে নিয়ে বেলিয়াতোড় রাধাবাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন উত্তমবাবু। এই নিয়ে তাদের দুই সংসারে রীতিমতো ঝগড়া লেগেই থাকত। গতকাল সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনতে পাই তার বাড়ি থেকে। তারপর প্রতিবেশীরা এসে দেখে বাড়ির পিছনে একটি লেবুগাছের তলায় মামনি মন্ডল পড়ে রয়েছে। এলাকার মানুষ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় বেলিয়াতোড় থানায়। বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ এসে মামনি মন্ডলের দেহ উদ্ধার করে প্রথমে বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। পরে তাকে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ মিঠু মন্ডল তার ভাই গোবিন্দ মন্ডল এবং তার ছেলে অজয় মণ্ডল তিনজনকে ৩০২ ধারায় খুনের মামলা এবং ১২০বি ষড়যন্ত্র করে খুনের মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার করেছে। আজ তাদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হচ্ছে। এই খুনের ঘটনা শুধুমাত্র সম্পর্কের টানাপোড়েন না এর পিছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ। গতকাল রাতেই ঘটনাস্থল থেকেই বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর থেকেই বেলিয়াতোড় এর রাধাবাজার এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশি প্রিকেট। রাখা হয়েছে পুলিশি বন্দোবস্ত। এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই অজয় এবং গোবিন্দ যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত মিঠু মন্ডল। তার দাবি সামান্য ঝগড়া বচসা থেকেই, অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘুষির আঘাতে মৃত্যু হয়েছে মামনি মন্ডলের। সংবাদমাধ্যমের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মিঠু মন্ডল।