eaibanglai
Homeএই বাংলায়বন্ধুর সঙ্গে রথের উৎসবে মেতে উঠল হাওড়ার ক্ষুদে শ্রীদাত্রী

বন্ধুর সঙ্গে রথের উৎসবে মেতে উঠল হাওড়ার ক্ষুদে শ্রীদাত্রী

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জী,হাওড়াঃ- নাই বড় রথ, কাঁসর ঘণ্টা সহকারে বহু মানুষের শোভাযাত্রা। কিন্তু বাড়িতে আছেন দাদু রামচন্দ্র খাঁ ও ঠাকুমা বিজলি খাঁ এবং তাদের নির্ভেজাল প্রশ্রয়। আর আছে প্রাণের বান্ধবী অদৃতা বসানী। আর কি চাই! দাদু-ঠাকুমার তৈরি করা রথ নিয়েই মনের আনন্দে বেরিয়ে পড়ল হাওড়া পুরসভার বাটরার ক্ষুদে শ্রীদাত্রী ওরফে পাড়ার সবার আদরের শ্রী।

বাড়ি থেকে হাওড়া কদমতলার দেশপ্রাণ শাসমল রোড থেকে অদৃতা ও শ্রীর রথ নরসিংহ দত্ত রোড পর্যন্ত ঘুরে আবার বাড়ির পথ ধরেছে। অবাক হয়ে পরিচিত মানুষেরা তাকিয়ে দেখেছে দুই ক্ষুদেকে। প্রবীণ শ্যামল বাবু তো বলেই ফেললেন – দু’জনকে এত মিষ্টি লাগছিল ঠিক করতে পারছিলাম না, কাকে দেখব রথ না বাচ্চা দুটোকে। যাইহোক যাইহোক পাড়ার দাদুরা ঠাকুরের প্রসাদের দাবি করলে লাজুক হাসিমুখে দু’জনেই বাড়ির পথ ধরেছে।

সংসারের যাবতীয় কাজ ফেলে রেখে একমাত্র আদরের নাতনি শ্রীর দাবি মেনে গত কয়েকদিন ধরে রথ তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রবীণ রামচন্দ্র বাবু ও বিজলি দেবী। একে অনভ্যস্ত হাত, তার উপর নাতনির আব্দার। অবশেষে সেই রথ নিয়েই রথের দিনে মহাআনন্দে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে আদরের নাতনি। তবে এক্ষেত্রে ছাড়া পেয়েছেন দু’জনেই।

রামচন্দ্র বাবু বললেন – বয়স হয়েছে। কিন্তু নাতনির আব্দারের কাছে বয়স হার মেনে গেছে। নাতনির আনন্দই আমাদের আনন্দ।

অন্যদিকে শ্রীর মা দীপশিখা দেবীর বক্তব্য – রথের ব্যাপারটা পুরোপুরি দাদু, ঠাকুমা ও নাতনি – ঐ তিন জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যখন দেখি ওরা আনন্দ পাচ্ছে তখন আমাদেরও আনন্দ হয়, খুব ভাল লাগে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments