জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, হাওড়া-: সারা দেশের বিভিন্ন নিম্ন আদালতের সঙ্গে হাওড়া জেলা ও দায়রা বিচারক তথা জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অভিজিৎ সোমের নেতৃত্বে ও জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব শ্রীমতী আর্শেয়া মুস্তাকের পরিচালনায় হাওড়া জেলায় ২১ টি বেঞ্চে বসে লোক আদালত। এদের মধ্যে জেলার সদর আদালতে ছিল ১৮ টি এবং উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে ছিল ৩ টি বেঞ্চ।
হাওড়া জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের অফিস মাস্টার প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য্য জানান – এদিন জাতীয় লোক আদালতে নথিভূক্ত মামলার বেশিরভাগ নিস্পত্তি ঘটেছে, এইসব মামলায় অর্থের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকার বেশি। হাওড়ায় জাতীয় লোক আদালতের ৭ নং বেঞ্চে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শুভাশিস ঘোষালের নেতৃত্বে তিন সদস্যর বেঞ্চ ছিল। এই বেঞ্চে সমাজকর্মী হিসাবে ‘বেঞ্চ মেম্বার ‘ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের ‘নন এডভোকেট মিডিয়েটর’ ও ‘আইনি সংবাদদাতা’ মোল্লা জসিমউদ্দিন এবং আইনজীবী মহম্মদ আরিফ। এই বেঞ্চে বন্ধন ব্যাঙ্কের ঋণখেলাপীদের নিয়ে শুনানি চলে। এই বেঞ্চে বেশিরভাগ মামলার নিস্পত্তি ঘটে। এছাড়া ২ নং বেঞ্চে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্লাবন মুখার্জ্জীর নেতৃত্বে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের মামলাগুলি এবং ১২ নং বেঞ্চে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অসীম দেবনাথের নেতৃত্বে ইউকো ব্যাঙ্ক ও পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংকের মামলাগুলির নিস্পত্তি ঘটে। হাওড়া জেলা আদালতের অন্যান্য বেঞ্চে ট্রাফিক আইন, মানি স্যুট, টাইটেল স্যুট,ব্যাংক, এনজিআর,বিদ্যুৎ, টাইটেল স্যুট, ইউকো ব্যাঙ্ক,মোটর দুর্ঘটনা প্রভৃতি বিষয়ক মামলার নিস্পত্তি ঘটে। হাওড়া জাতীয় লোক আদালতের সচিব শ্রীমতী আর্শেয়া মুস্তাক জানিয়েছেন – হাওড়া জেলা জুড়ে বিভিন্ন বেঞ্চে সমাজকর্মী হিসাবে ছিলেন জহর দাস( প্রাক্তন সদস্য – প্রাক অলিম্পিক ভারতীয় ফুটবল দল), শ্রীমতী অপরাজিতা দাস (ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অধ্যাপক), শ্রীমতী মহাশ্বেতা মুখার্জি ( কর্মকর্তা – দুর্বার মহিলা সমবায় সমিতি), ড. মনোরঞ্জন দেয়াশী (প্রাক্তন সিনিয়র মেডিকেল অফিসার – এনসিএইচ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল), মামন আকতার, মহম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ ( সম্পাদক – সংকল্প টুডে) প্রমুখ।





