সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ খোদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভেতরই জবরদখল। আর তাতে রমরমিয়ে চলছে বে-আইনী ক্যান্টিন। বিষয়টা এমন নয় যে জানেন না মেডিক্যাল কলেজের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিরা। “তা সত্বেও দিনের পর দিন, মাসের পর মাস মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের অংশ দখল করে বেআইনী ব্যবসা চালাচ্ছে একজন আর ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে প্রশাসন,” অভিযোগ ডাক্তারি-পড়ুয়াদের একাংশের। কয়েক বছর আগে বৈধতা শেষ হয়ে যাওয়ায় মেডিক্যাল কলেজের বিধান চন্দ্র রায় হস্টেল লাগোয়া বিল্ডিং এ যে ক্যান্টিন চলছিল, তা বন্ধ করে কলেজ প্রশাসন। তাতে সমস্যায় পড়ে ডাক্তারি-পড়ুয়ারা। সেই সুযোগে বাঁকুড়ারই মিলন দাস পরিত্যাক্ত ঘরটিতে নিজের মর্জি মাফিক ক্যান্টিন চালানো শুরু করে দেন এক বছর আগে। ডাক্তারি-পড়ুয়াদের একাংশ অবশ্য নিজেদের প্রয়োজনের তাগিদে তাকে সমর্থনও করে। কিন্তু, বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক চলাকালীন রাজ্যের ডাক্তারি-পড়ুয়াদের সংগঠন বেআইনী ওই ক্যান্টিনের বিষয়টি তাঁর নজরে আনেন, দু মাস আগে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বাঁকুড়া সন্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবরও নেওয়া হয়। এরপরই নির্দেশ আসে, হস্টেল এলাকায় বৈধ ক্যান্টিন করতে হবে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, পার্থপ্রতীম প্রধান বলেন, ” মেডিক্যাল ছাত্রদের জন্য ক্যান্টিনের দরপত্রও ডাকা হয়েছে। যতক্ষন পর্যন্ত না বিকল্প ব্যবস্থা করা যাচ্ছে, অবৈধ ক্যান্টিনটি সরানো হচ্ছে না।” মিলন কিন্তু বলেন, “জবর দখল নয়, ছাত্রদের অসুবিধা হচ্ছিল, তাই এটা চালাচ্ছি।”