সূচনা গাঙ্গুলি, শিয়ালদহ:– বাংলা কাব্য জগতের নতুন ধারা ‘পঞ্চবান’-কে পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ‘পঞ্চবান কাব্য চর্চা পর্ষদ’-এর উদ্যোগে ৯ ই জুন শিয়ালদহের ‘কৃষ্ণচন্দ্র ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবন’-এ আয়োজিত হয় পঞ্চম বর্ষ ‘পঞ্চবান কবিতা উৎসব’।
কানায় কানায় পরিপূর্ণ সুসজ্জিত হলে ভারত ও বাংলাদেশের তিন শতাধিক কবি উপস্থিত ছিলেন। একাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। প্রবীণ কবিরা কাব্য-সাহিত্য সম্পর্কে তাদের সুচিন্তিত মতামত নবীন প্রতিভাদের সামনে তুলে ধরেন এবং নতুন ঘরানার কাব্য সৃষ্টির দিকে মনোনিবেশ করার জন্য পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে তারা ‘পঞ্চবান’ কাব্য স্রষ্টা সুশান্ত বাবুর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক পঞ্চবান কবির কলমে ছয় শতাধিক পঞ্চবান কবিতা সমৃদ্ধ ‘পঞ্চবান সংকলন’ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও সুশান্ত ঘোষের ‘পঞ্চক কাব্যমালা’ বইটির ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশিত হয়। অনুবাদ করেন গোপাল চক্রবর্তী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কবি কমল দে সিকদার, আরণ্যক বসু, বরুণ চক্রবর্তী, দিলীপ রায়, তাপস সাহা, গোপাল চক্রবর্তী, বকুল বৈরাগী প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন ঢাকা ফার ইস্ট ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সন্দীপক মল্লিক, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের মহাসচিব মীর আব্দুল আলিম, সমাজসেবী ও জাগ্রত মহানায়ক শিয়াব রিফাত আলম, কবি ও সাংবাদিক হারুন অর রশিদ সাগর, কবি তথা মানবাধিকার সমাজসেবী সৈয়দ খায়রুল আলম, সমাজ কর্মী রুহুল আমীন ও সাংবাদিক এ হাই মিলন প্রমুখ।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত কবিদের বুকে পঞ্চবান লোগো খচিত স্টিলের ব্যাচ, মেডেল দ্বারা সম্মানিত করা হয় এবং হাতে তুলে দেওয়া হয় পঞ্চবান ‘সংকলন’। গলায় উত্তরীয় ও মেডেল এবং হাতে স্মারক তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় বিশিষ্ট সাংবাদিক সূচনা গাঙ্গুলিকে। এর আগে প্রদীপ প্রজ্বলিত করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুশান্ত ঘোষ। তাকে সহযোগিতা করেন বরুণ চক্রবর্তী ও নিগমানন্দ মণ্ডল।
প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে তার ডাকে সাড়া দিয়ে যেভাবে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবিরা উপস্থিত হয়েছেন তার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুশান্তবাবু বলেন, ‘পাঁচ বছরের মধ্যেই যেভাবে দেশ-বিদেশে পঞ্চবান নিয়ে বাঙালি কবিদের মধ্যে চর্চা চলছে সেটা সত্যিই অকল্পনীয়। ভবিষ্যতে আরও নতুন ঘরানার সৃষ্টি হবে এবং সমৃদ্ধ হবে বাংলা কাব্য জগত।’