এইবাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– “যোগ সারায় রোগ।” এই প্রবাদটি বহু শতাব্দী প্রাচীন। হাজার হাজার বছর আগে ভারতেই সূচণা হয়েছিল যোগের। ঋগ্বেদের মতো পৌরাণিক গ্রন্থেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। যোগ বা যোগা ভারতীয় সংস্কৃতি তথা জীবনধারার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বের মানুষের কাছে যোগের ফলে শারীরিক ও আধ্যাত্মিক উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য, প্রতি বছর ২১ জুন দিনটি ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ হিসাবে পালিত হয় বিশ্বজুড়ে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের ২৪ শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম উত্থাপন করেছিলেন যোগার বিষয়টি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই রেজুলেশন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয় এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের প্রস্তাব ১৭৭টি সদস্য দেশ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দেয়। এরপর থেকেই ২১ শে জুন দিনটি বিশ্ব জুড়ে পালিত হতে থাকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে। এবছর ৯ তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এবারের থিম ‘মানবতা’।
২১ শে জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের পিছনে একটি বড় কারণ রয়েছে। ২১শে জুন বছরের দীর্ঘতম দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনে সূর্য খুব তাড়াতাড়ি উঠে এবং দেরি করে অস্ত যায়। যোগও একজন ব্যক্তিকে দীর্ঘজীবন দেয়। এই কারণে, ২১শে জুন দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।
সারা বিশ্বের পাশাপাশি দুর্গাপুর শিল্পশহরেও ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দুর্গাপুর পতঞ্জলি যোগ সমিতির তত্ত্বাবধানে এদিন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর শিল্পাঙ্গনে যোগ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই যোগ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ভারত স্বভিমান ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর নিরোধ বরণ হাজরা, দুর্গাপুর মহিলা যোগ সমিতির কোঅর্ডিনেটর কাবেরী মুখার্জী সহ কার্যকর্তারা। যোগা দিবসে যোগ করতে হাজির হয়েছিল বহু সাধারণ মানুষও।