সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পুরুষ ও নারীর অনুপাত কমছে । ” বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও ” নিয়ে সরব জিতেন্দ্র তেওয়ারি। আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি রবিবার দুপুরে আসানসোলের জিটি রোডের গোধূলি মোড় সংলগ্ন আবাসিক অফিসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করলেন যে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কন্যা ভ্রূণহত্যা হচ্ছে। যে কারণে এই জেলায় নারী-পুরুষের মধ্যেকার অনুপাত বা ফার্টিলিটি রেট কমেছে। তিনি দাবি করে বলেন, একদিন আগেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক বৈঠকে এই বিষয়টি উঠে আসে। যা খুবই উদ্বেগজনক। তবে এ বিষয়ে তিনি এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কোনো সংখ্যা তথ্য দেখাতে পারেননি। তবে এই জেলার রানিগঞ্জ, পান্ডবেশ্বর ও অন্ডাল ব্লকের পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক বলে দাবি করেন তিনি। সেখানে পুরুষ-মহিলা অনুপাত হরিয়ানার থেকেও কম। এর জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন তিনি। বিজেপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে “বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও ” অভিযান সারাদেশের জন্য শুরু করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। যার জেরে এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এইজেলার রানিগঞ্জ, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বরের মতো এলাকায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। জিতেন্দ্র তেওয়ারির দাবি হরিয়ানার চেয়েও এই এলাকায় পরিস্থিতি খারাপ। তিনি বলেন, এটি একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। কারণ সরকার যদি মেয়েদের বাঁচাতে না পারে তাহলে তাদের কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের কি দরকার? যদি মেয়েরা না থাকে তাহলে, এইসব প্রকল্পের লাভ কারা নেবে ? “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” প্রকল্প কার্যকর করা হয়নি কারণ এই রাজ্যের শাসক দলের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করতে হয়েছে। এ কারণেই আজকের এই অবস্থা। তাই অবিলম্বে “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” প্রকল্প কার্যকর করা উচিত বলে তিনি দাবি করেন। যদিও, জিতেন্দ্র তেওয়ারির দাবি নিয়ে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা কোন মন্তব্য করতে চাননি।