eaibanglai
Homeএই বাংলায়ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ঘরছেড়ে কিডনি পাচার চক্রের পাল্লায় গৃহবধু, উদ্ধারের পর আত্মঘাতী

ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ঘরছেড়ে কিডনি পাচার চক্রের পাল্লায় গৃহবধু, উদ্ধারের পর আত্মঘাতী

সংবাদদাতা, কালনা:- ফেসবুকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার পর গৃহবধুর কিডনি পাচারের চেষ্টা, সেই চেষ্টা বিফল করে দুষ্কৃতকারীদের ডেরা থেকে উদ্ধার করে আনা গৃহবধু শেষমেষ লজ্জায় আত্মঘাতী হলো স্বামীর কাছে ফিরে। এ ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য পূর্বস্থলী এলাকায়।

ফেসবুকের মাধ্যমে এক যুবকের সাথে আলাপ, প্রেম সাতাশ বছরের গৃহবধু সরস্বতী মন্ডল সেনের। সেই প্রেমের টানে স্বামীর ঘর ছেড়ে যুবকের হাত ধরে সরস্বতী গত ৯ জুন। নতুন প্রেমিকের বাসায় কটা দিন ভালই কাটছিল সরস্বতীর। কিন্তু প্রেমিকের আর তার পরিবারের লোকজনের হাবভাব বদলাতে শুরু করে অল্পদিনেই। ওই গৃহবধুকে নাকি দিনে রাতে দফায় দফায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাখা হচ্ছিল। স্বামীকে পাঠানো এসএমএসে সরস্বতী জানায়, সে একটি কিডনি পাচার চক্রের পাল্লায় পড়েগেছে নিজের ভুলেই।

নিজের ভুল বুঝতে পেরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্বামীকে ফোন করে ও এসএমএসের মাধ্যমে সমস্ত ঘটনাটাই জানায় সরস্বতী। তার কিডনি বিক্রি করে দেয়া হতে পারে বলে সে নাকি ওই প্রেমিকের ফোনে একটি কথপোকথনে শুনে ফেলে। তিনি এমন আশঙ্কাও ওই এসএমএসে প্রকাশ করেছিলেন যে তাকে মেরে ফেলা হবে এমন হুমকি দিয়েছে ওই যুবকের পরিবার। এসএমএস মারফত এমনটাই জানিয়েছিল গৃহবধূ তার স্বামীকে।

এরপর পুলিশের ভয়ে আটকে রাখা ওই গৃহবধূকে ছেড়ে দেয় ওই যুবকের পরিবার। বাড়ি ফিরে এসে এক রাত কাটার পরে শনিবার সকালে শ্বশুর বাড়িতেই কার্যতঃ নিজের কৃতকর্মের দরুন চক্ষু লজ্জার ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতি হয় ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি সে ঘটায় স্বামীর কাছে পূর্বস্থলীর তামাঘাটা পশ্চিমপাড়া এলাকায় আসার পর। পূর্বস্থলী থানার তামাঘাটা এলাকায় বিয়ে হয় তার। বেশ কয়েক বছর ঘর সংসার করার পর গত ৯ তারিখ এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে তার কথাতেই বাড়ি ছাড়ে সে, ওই যুবকেরই এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়ে ওঠে এই গৃহবধূ। আর সেখানেই তাকে যে জল খেতে দেয়া হচ্ছিল সেই জল খেয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছিলেন তিনি। তাদের কথাবার্তাতেই বেশ কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করে, নিজের ভুল বুঝতে পেরে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল ওই গৃহবধূ।

এরপর সমস্তটাই এসএমএস মারফত তার স্বামীকে সে জানিয়েছিল। এরপর পুলিশের ভয়ে ওই যুবকের পরিবার তাকে ছেড়ে দেয়, গৃহবধূ বাড়িও ফিরে আসে। এরপর চক্ষু লজ্জার ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। মৃত ওই গৃহবধুর স্বামী জানান, ওই যুবক দুটি সংসার নষ্ট করল। তাকে যখন বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গেল তখন তার সাথে সংসার করতে পারতো। আমার নিজের সংসারটাকেও নষ্ট করল। যুবকের শাস্তিরও দাবি করেছেন তিনি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments