সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ- জটিল অস্ত্রপাচারের জন্যে ঝুঁকি না নিয়েই ফিরিয়েছেন অনেক চিকিৎসক। খাদ্য নালী পেঁচিয়ে যাওয়ার রোগ অর্থের ওভাবে অপারেশন করতে পারছিলেন না আসামের এক রুগীর পরিজনরা। এই অপারেশন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া প্রায় অসম্ভব কিন্তু ঝুঁকিনিয়ে অসুস্থ বালককে তিন ঘন্টা ধরে অপারেশন করে প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো কালনার একটি নার্সিংহোমেরে চিকিৎসক মধুসুধন গুপ্ত। এখন সুস্থ আছে রোগী জানালেন চিকিৎসক। খাদ্যনালী পেঁচানো অবস্থায় জন্ম নিয়েছিল আসামের মাস্টার আবদুল মাটিম নাম এক বালক। পেটে ব্যথা ও বমি উপসর্গ নিয়ে আসামের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হসপিটালে চিকিৎসা করিয়েও কোনো ফল পাননি আবদুলের পরিজনরা। বমি ও পেটের যন্ত্রণার জন্যে ভেঙে পড়ছিলো এমনকি মা বাবার সামনেই চিকিৎসার অভাবে দিনকে দিন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছিলো আব্দুল। শেষমেশ আবদুল কে নিয়ে তার মা ও বাবা গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসা করতে গেলে অসুস্থ আবদুল কে জটিল অস্ত্র পাচার করার কথা জানান তবে ভর্তির করতে বেশ সময় লাগবে। খেতমজদুর পরিবার নিজের অসুস্থ ও কষ্টে ছটপট করতে থাকা সন্তানকে ভর্তি করিয়ে নেওয়ার জন্যে চিকিৎসককে অনুরোধ করতে থাকেন,কিন্তু কোনো ফল পাননি। ওঁৎপেতে থাকা দালাল রা দেড়লাখ টাকার বিনিময়ে হসপিটালে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় অসুস্থ আবদুলের মা ও বাবা কে,কিন্তু সে রকমের বড়ো অর্থ না দিতে পারে অপারেশন থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়,মাত্র ২৯ হাজার টকাতেই কালনার একটি নার্সিং হোম ভর্তি হয়ে যায় আবদুল। আবদুলের বারো বছর ধরে যন্ত্রনা ও কষ্টের অবসান ঘটালেন কালনার চিকিৎসক মধুসুধন গুপ্ত, অসমের মাস্টার আবদুল মাটিম আসতে আসতে সুস্থ হয়ে ওঠার লক্ষণ দেখে খুশি রুগীর পরিজনরা।