সঙ্গীতা চৌধুরীঃ- একবার একজন ভক্ত স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, সবসময় আপনারা কাজের উপর এতো জোর কেন দেন? ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই জগৎ চলে। মানুষের উচিত জপধ্যান করে মুক্তি পাওয়া। জীবত্বকে অতিক্রম করে পরমহংসত্ব অর্জন করা। তাহলে আপনারা কেন কাজ করতে বলেন?
স্বামী সোমেশ্বরানন্দ মহারাজ এর উত্তরে বলেন,“ঘরে বসে সবাই পরমহংস হতে পারে, কাজে নামলেই বোঝা যায় কে কতটুকু পরমহংসত্ব অর্জন করতে পেরেছে। ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই সব চললে নিজের ছেলেকে ডাক্তার বানাতে চাইছেন কেন? কেনই বা অসুখ হলে ওষুধ খান আপনি? ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দিন না এগুলি। কথামৃতে রয়েছে, ঠাকুরের সামনে এক ব্যক্তি এ-কথা বললে ঠাকুর তাকে ধমক দেন “এর মধ্যেই বুঝে ফেলেছ কোনটা ঈশ্বরের ইচ্ছা আর কোনটা নয়? ঈশ্বরের ইচ্ছাই যদি বল তবে তোমার ছেলে মারা গেলে ঈশ্বরের ইচ্ছা দেখতে পাওনা কেন?” যে পথেই সাধনা করুন, কর্মের মাধ্যমেই বোঝা যায় প্রকৃতই কতটা এগিয়েছেন। কর্মের দ্বারাই মূল্যায়ন করা যায়। ঠাকুরের কথার তাৎপর্য বুঝতে হলে স্বামীজিকে পড়া দরকার।”




















