সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- কংসাবতী জলাধার থেকে ছাড়া হবে বিপুল পরিমান জল, জারি করা হল সতর্কবার্তা। খালি করা হবে কংসাবতী জলাধারের বেশিরভাগ জল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে নদীর দুই পাশের জনগণকে। কিন্তু হঠাৎ কেন অসময়ে জলাধারের জল খালি করা হচ্ছে জানেন? বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র। ভ্রমণ প্রিয় এখানে ছুটে আসেন বারবার। তবে এই জলাধার তৈরীর মূল উদ্দেশ্য ছিল জলধারের নিম্ন অববাহিকায় কৃষি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা পুরণ। কৃষি কাজে কংসাবতী জলাধারের জলের গুরুত্ব যেমন রয়েছে তেমনি এই জলাধার ধীরে ধীরে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম মাটির বাঁধ হল বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার। কংসাবতী নদীর উপর মাটির বাঁধ দিয়ে এই জলাধার তৈরী তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ড: বিধান চন্দ্র রায়ের আমলে।
এই জলাধারে বিপুল জল রাশিকে আটক করে লাগানো হয় কৃষি, পর্যটনের মরশুমে চলে নৌকা বিহার। তবে এবার জলাধারের জলের বেশ কিছুটা খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দফতর। জল ছাড়ার কারণে এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, আজ অর্থাৎ ২০শে মার্চ থেকে প্রায় দশদিন ধরে জল ছাড়া হবে জলাধার থেকে। সেচ ও জলসম্পদ দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ খবর জানানো হয়েছে। কংসাবতী জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল কংসাবতী নদীতে ছাড়ার ফলে সৃষ্টি হতে পারে বিপর্যয়কালীন পরিস্থিতি। তাই সেরকম কোন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে তাই সারেঙ্গা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা মুলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রচার শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও নদীতে স্নান করার জন্য বা অন্য কোনকারনে যারা নেমে আছেন তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রবি মরসুমের কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় জল দিয়ে দেওয়ার পর কংসাবতীর জলাধার খালি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও আগামী ০১লা এপ্রিল ২০২৪ থেকে কংসাবতী জলাধারের সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার কথা। সেই কারনেই জল ছাড়া হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।