নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– শনিবার রাজ্যজুড়ে ষষ্ঠ দফায় শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ রাজ্যবাসী উপকৃত হয়েছেন। অথচ এই শিবিরে বিদ্যুৎ পরিষেবার আবেদন জানিয়েও আবেদন মেলেনি এই অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে তাণ্ডব চালাল খোদ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য এবং অঞ্চল সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এদিনের শিবিরে। পরে কাঁকসা থানার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে কাঁকসা ব্লকের বিদবিহারের শিবপুরের রায়ডাঙা এলাকার কয়েকটি পরিবার গত বারের ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রায় চার পাঁচ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিদ্যুৎ পরিষেবা পায়নি ওই পরিবারগুলি। এদিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা না মেলায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর এবং অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখকে। এদিকে শনিবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছিল। সেখানে সমস্ত দপ্তরের পাশাপাশি ক্যাম্প করেছিল বিদ্যুৎ দপ্তরও। অভিযোগ সেই ক্যাম্প শুরু হওয়া মাত্র সেখানে হামলা চালান পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর, অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখ এবং তাদের অনুগামীরা। ক্যাম্পের টেবিল চেয়ার উল্টে নথি তছনছ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের রীতিমতো হুমকিও দেন তৃণমূলের স্থানীয় দুই নেতা। যতক্ষন না তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলছে ততক্ষণ পর্যন্ত দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের বসতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে কাঁকসার তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকারি কর্মসূচিতে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তবে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ঠিক কি ঘটেছে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন। অন্যদিকে এই ইস্যুতে সুর ছড়িয়েছে বিরোধীরা। কাঁকসা ব্লকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভগিরথ ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ যে আসলে সরকারি পরিষেবা পাচ্ছে না এদিনের ঘটনাই তা প্রমান করে দিল।