নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ঠিক যেন সিনেমার চিত্রপটকেও হার মানাবে সোনাপাচারের এই ঘটনা। পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে নকল পুলিশ সেজে নকল সোনা ক্রয়-বিক্রয়ের কারবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এরপর সেই ব্যবসায়ীদেরকেই পুলিশের হুমকি দিয়ে সেই নকল সোনা এবং টাকা লুঠ করত একদল আন্তঃরাজ্য পাচারকারী। সেই ঘটনারই তদন্তে নেমে ১২ জন আন্তঃরাজ্য নকল সোনা পাচারকারীকে গ্রেফতার করল কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দেড় কেজি ওজনের সোনার রং করা পিতলের বার, নগদ টাকা, প্রায় ৫০টির মতো সোনার জল করা পিতলের কাটিং পাত। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ যা জানতে পেরেছে তা শুনে হতভম্ব পুলিশ আধিকারিকরা। ধৃত সোনা পাচারকারীরা তাদের বয়ানে জানিয়েছে, দীর্ঘদিনধরেই তারা নকল সোনা পাচারের এহেন কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই পাচারকারীরা কোনও স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলতে দুটি দলে প্রথমে ভাগ হয়ে প্রথম দল ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলত। ব্যবসায়ীর সঙ্গে লেনদেনের কথা পাকা হয়ে গেলে পাচারকারীরা ওই ব্যবসায়ীকে নির্দিস্ট জায়গায় ডেকে পুলিশের স্টীকার লাগানো গাড়িতে এসে নকল সোনার বার এবং সোনার পাত বিক্রি করত। টাকা ও সোনা লেনদেন হয়ে যেতেই একদল টাকা নিয়ে সরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি দল সেখানে পুলিশের পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সোনার জল করা পিতলের বার ও নগদ টাকা লুঠ করে নিত। জেরায় আরও জানা গেছে, নিজেদের উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়ে এই পাচারকারীরা স্বর্ণব্যবসায়ীদের জানাত চোরাই সোনা হওয়ায় তারা কম দামে এই সোনা দিতে পারছে। ফলে লোভে এবং পুলিশি মামলার ভয়ে ব্যবসসায়ীরাও প্রতারিত হয়েও নিশ্চুপ থেকে যেতেন। সম্প্রতি ধানবাদের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে নকল সোনার এই কারবারের ফাঁদ পেতেছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই পাচারকারীদের সঙ্গে দুর্গাপুরের এক ব্যক্তিরও নাম পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে বলে খবর। সেই ব্যক্তির খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।