নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ফের প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পুকুর ভরাটের কাজ। তাও রাতের অন্ধকারে নয়, প্রকাশ্যে দিনের আলোয় প্রশাসনের নাকের ডগায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ঘটনা পানাগড়ের রণডিহা মোড় সংলগ্ন এলাকার। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগেও যেখানে পুকুর ছিল বর্তমানে সেই পুকুর মাটি ফেলে অনেকটাই বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই কয়েকজন ব্যবসায়ী পুকুরটিকে বুজিয়া নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। প্রকাশ্য দিনের আলোয় গলসি বিধায়কের কার্যালয়ের পাশেই এই পুকুর ভরাটের কাজ চললেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের নজরে আসেনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ইতিমধ্যেই পুকুরের বেশ কিছুটা অংশ ভরাট করা হয়ে গিয়েছে, পুকুরের একটা অংশে মাটি দিয়ে ভরাট করে সেখানে কন্টেনারও ফেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাথমিকভাবে পুকুর ভরাট করে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করার কথা জেনে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। তাদের বক্তব্য, পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ করতে গেলেও যারা এই কাজ করছে তাদের সাফাই পুকুরটি বর্তমানে বাস্তু হয়ে গিয়েছে, তাই এই পুকুর ভরাটে কোনও আইনী বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনিক তরফে অনুমতি না পেয়েই কী করে নিজেদের ব্যক্তিগত মতামতের ওপর ভিত্তি করে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করে দিল ওই ব্যবসায়ীরা। যদিও স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সম্পূর্ণ ঘটনায় প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক মদতও কাজ করছে। তাদের বক্তব্য, প্রশাসনিক কিংবা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া দিনের আলোয় এভাবে প্রকাশ্যে পুকুর ভরাট কী করে সম্ভব। কেনই বা এতদিন হয়ে গেলেও এই বেআইনী কার্যকলাপ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে গেল? পাশাপাশি এই পুকুরের পাশেই রয়েছে গলসির বিধায়কের কার্যালয়। প্রত্যেক দিনই ওই কার্যালয়ে দলের নেতা-নেতৃত্ব কিংবা সদস্যদের আনাগোনা থাকলেও তারাই বা পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ করলেন না এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারাই বিএলআরও এবং কাঁকসার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, এখন তাদের অভিযোগের পর প্রশাসনিক তরফে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে এলাকাবাসী।