নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– কয়লা পাচার, বালি পাচার, গরু পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জর্জরিত শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। একাধিক দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকে অজয় নদের বালি তুলে পাচারের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ কাঁকসার বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটালপুকুরে অজয় নদের ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে সেই বালি দেউলে বনদপ্তরের সংরক্ষিত রিজার্ভের কাঁচা রাস্তা দিয়ে পাচার হচ্ছে দিনে দুপুরে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে। এমনকি সংরক্ষিত এলাকায় যাতায়াতাতের বন্ধের জন্য বনদপ্তরের লাগানো হাইটবার লোপাট করে সেই পথে অভারলোডেড ট্রক্টরে করে বালি পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ২০২১সালে দেউলের সংরক্ষিত এলাকাকে সাজিয়ে তোলার জন্য কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার এবং একটি রিসর্ট গড়ে তোলা হয়। পাশাপাশি গড় জঙ্গলের দু প্রান্তে দুটি হাইটবার বসিয়ে ভারী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনদপ্তর। অভিযোগ বর্তমানে সেই দুটি হাইটবার লোপাট করে ওই পথে বালি পাচার করছে বালি মাফিয়ারা। স্থানীয়দের একাংশের মতে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা ও পুলিশ প্রশাসনের মদতে চলেছে এই বালি পাচারের কারবার।
অন্যদিকে বনদপ্তরের লাগানো হাইটবার লোপাট করে বালি পাচার প্রসঙ্গে দুর্গাপুর বনাঞ্চলের রেঞ্জার সুদীপ ব্যানার্জিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কারা এই হাইটবারগুলি চুরি করলো এবং কারা এই রাস্তায় বালি পাচার করছে সে বিষয়ে তদন্ত করার জন্য ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হবে এবং কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে কাঁকসার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক রাজীব গোস্বামীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বালি পাচারের অভিযোগ তারা পেয়েছেন এবং একাধিক বালির গাড়ি বাজেয়াপ্তও করা হচ্ছে। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এখন এই আশ্বাস আগামীদিনে কতটা কার্যকর হয় সেদিকেই তাকিয়ে এলাকার মানুষ।