নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- রাজ্য জুড়েই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে পথশ্রী রাস্তাশ্রী প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণের কাজ। আর তাতেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি রাস্তা নির্নাণের কাজের সূচনা হয়েছে শুক্রবার। আর এই রাস্তা নির্মাণ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি ও স্থানীয়দের একাংশ।
প্রসঙ্গত,কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষ্ণপুর বাগান থেকে অজয় নদের ধারে থাকা শ্মশানটির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নতুন রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ অজয়ের ধারে থাকা ওই শ্মশানের কোন অনুমোদন নেই। ফলে নানারকম সমস্যায় পড়তে হয় দাহ করতে যাওয়া পরিজনদের। বিশেষ করে শংসাপত্র নিতে হলে অজয়ের নতুন সেতু পেরিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় বীরভূম জেলার ইলামবাজারের জয়দেব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে গিয়েও সহজে মেলে না সার্টিফিকেট। কখনও দাহের প্রমাণ চাওয়া হয়, কখনও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী না থাকার অজুহাত দেওয়া হয়। রাতবিরেতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। দুর্গাপুর ফরিদপুর, কাঁকসা, পাণ্ডবেশ্বর এমনকি দুর্গাপুর শহরের নানা প্রান্ত থেকে বহু মানুষ অজয়ের এই শ্মশানে আত্মীয় পরিজনদের দাহ করতে যান।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার এই শ্মশানের সঙ্গে যোগাযোগকারী রাস্তা নির্মাণের সূচনা করেন কাঁকসার বিডিও সৌরভ গুপ্তা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নবকুমার সামন্ত। উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মীমণি টুডু, উপপ্রধান, সদস্য গোপাল সরকার, স্বপন সূত্রধর সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও কর্মীরা।
যে শ্মশানের অনুমোদন নিয়েই প্রশ্ন, সেখানে সরকারি প্রকল্পে রাস্তা কীভাবে? প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই। তিনি বলেন, “এটা চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যর্থতা। শ্মশানে গিয়েও মানুষ শান্তি পায় না।”
বিষয়টি নিয়ে কাঁকসার বিডিও সৌরভ গুপ্তা বলেন, “শ্মশানের অস্থায়ী কোনও লিখিত অনুমোদন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি যাতে এই এলাকাতেই শ্মশান শংসাপত্র দেওয়া যায়, সেই বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।” অন্যদিকে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নবকুমার সামন্তের বক্তব্য, “এই রাস্তা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, তাই কাজ শুরু হয়েছে। শ্মশান শংসাপত্র সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে, তা সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
অন্যদিকে স্থানীয়দের দাবি নতুন রাস্তা হলে শ্মশানে যাতায়াতে সুবিধা হবে ঠিকই কিন্তু শ্মশানে সংশাপত্র কবে মিলবে? প্রশাসনের আগে এই বিষয়টির উপর নজর দেওয়ার দরকার ছিল।

















