নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- দেশের এই যুদ্ধ আবহে এক অন্যন্য জন্মজয়ন্তীর ছবি উঠে এল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের জঙ্গল মহলে। যেখানে কবির প্রতিকৃতির সামনে তাঁর জন্মজয়ন্তীতে ভারতীয় সেনার পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তীর ধনুক হাতে উঠল ভারত মাতার জয়ধ্বনি।
আজ সারা বিশ্বজুড়ে বাঙালিরা স্মরণ করছেন তাঁদের প্রিয় কবিকে। রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরই মাঝে এদিন কাঁকসার জঙ্গলমহলের চুয়া আদিবাসী পাড়ায় অনুষ্ঠিত হল এক অন্য রবীন্দ্র জয়ন্তী। যেখানে আদিবাসী যুবকরা জাতীয় পতাকা নিয়ে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। তারপরেই তারা ভারতীয় সেনা জিন্দাবাদ স্লোগান দেন। গাওয়া হয় জাতীয় সংগীত।
এলাকার আদিবাসী যুবকরা বলেন, ” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু লেখায় ফুটে উঠেছে দেশপ্রেম। যা আমাদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে। বর্বরোচিত পাকিস্তানের কর্মকাণ্ডের যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। ভারত মায়ের অনেক বীর সন্তানকেও প্রাণ বলিদান দিতে হচ্ছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছিলেন দেশপ্রেম। তাই তাঁর জন্মদিনে তাঁর স্মৃতিতে মাল্যদান করে আমরাও দেশের সেনাবাহিনীর পাশে থাকা শপথ গ্রহণ করছি। এবং সেই জন্যই আমরা তীর ধনুক, বল্লভ হাতে ধরেছি। আমাদের যদি কখনো প্রয়োজন হয় তো আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত ভারতীয় সেনার পাশে থাকতে প্রস্তুত।”
প্রসঙ্গত কাঁকসার অঞ্চলের পাশেই পানাগড়ে রয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনার ঘাঁটি। স্থানীয় আদিবাসী সমাজের যুবকদের দাবি সেনা ঘাঁটি থেকে দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করার জন্য যদি কখনও ডাক আসে তার জন্য তাঁরা প্রস্তুত। দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে তাঁরা পিছপা হবেন না। পাশাপাশি তাঁরা ভারীতয় সেনা জওয়ানদের স্যালুট জানিয়ে বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা যে লড়াই লড়ছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রয়োজনে আমরাও শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়তে রাজি আছি। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে আজ আমরা এই শপথ নিলাম।”
স্থানীয়দের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মতে দেশ মাতাকে রক্ষার শপথ নিয়ে সেনার পাশে থাকার বার্তা দিতেই তাঁদের অন্য রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীত পালন।





