নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- জয়দেব মেলার আগে অস্থায়ী সেতু ঘিরে অশান্তি। অস্থায়ী সেতুর দাবিতে অবরোধ বিজেপির, অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি।
বীরভূমের কেন্দুলির জয়দেব মেলার খ্যাতি জগৎজোড়া। প্রতিবছর মকর সক্রান্তি উপলক্ষ্যে মেলা বসে এখানে। যেখানে বাউল সাধকদের গান, নাচ এবং লোকশিল্পের এক অসাধারণ প্রদর্শনী হয়। এক কথায় বলতে গেলে এই মেলা সংস্কৃতির এক বিশাল মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে অজয় নদ। নদের একদিকে বীরভূমের কেন্দুলি অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের বিদবিহার গ্রাম। প্রতিবছর বিদবিহারে পশ্চিম বর্ধমান থেকে জয়দেবে যাওয়ার জন্য অজয়ের উপর তৈরি করা হয় অস্থায়ী সেতু। কিন্তু এবছর ওই সেতু নির্মাণের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।
এদিন অস্থায়ী সেতুর দাবিতে ‘জয়দেব সেতু’ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা কর্মীরা। সেই বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়রাও। এদিকে ব্যস্ত সময়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে ছুটে যায় কাঁকসা থানার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বেঁধে যায়। ঘটনাকে ঘিরে সাময়িক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিজেপি নেতা জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল অস্থায়ী সেতু তৈরির। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অস্থায়ী সেতু তৈরির অনুমতি বাতিল করা হলো। তারই প্রতিবাদে আমাদের এই এই অবরোধ। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এখন কোথায় গেল? কোথায় গেলেন গোলসির বিধায়ক নেপাল ঘড়ুই?” যদিও বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন,”আন্দোলন যে কেউ করতে পারে তাদের অধিকার আছে। অজয়ের অস্থায়ী সেতু তৈরি না হওয়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। পঞ্চায়েতেও সেই আঁচ পড়তে পারে। আমরাও চাইছি যাতে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ হয়।”
অন্যদিকে অস্থায়ী সেতু তৈরির কাজ শুরু না হলে ধারাবাহিকভাবে অবরোধ চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।


















