নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ– প্রায় ৮০০ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কাঁকসার রাঢ়েশ্বর শিবমন্দিরে জল ঢালতে শিবরাত্রির সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন শিব ভক্তরা। সকাল থেকেই চোখে পড়েছে প্রচীন এই মন্দিরের সামনে ভক্তদের লম্বা লাইন। মহিলাদের পাশাপাশি নানা বয়সের পুরুষ ভক্তরা হাজির হয়েছেন দুধ, জল ফুল ফল বেলপাতা নিয়ে। মনে করা হয় ভক্তিভরে যে বাবা রাঢ়েশ্বরের মাথায় জল ঢেলে প্রার্থনা করে তার সব মনোকামনা পূরণ করেন বাবা। তাই সারা বছরের পাশাপাশি শিব রাত্রির দিন বাবার মাথায় জল ঢালতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা।
ইতিহাস বলছে রাজা বল্লাল সেনের আমলে বেলে ও ঝামা পাথর দিয়ে তৈরি করা হয় রাঢ়েশ্বর শিব মন্দিরটি। প্রায় ৮০০ বছর আগে গড় জঙ্গলে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন রাজা বল্লাল সেন। কাঁকসার মলানদিঘী, বনকাটি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিয়ে অজয়ের পাড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। দুষ্কৃতীদের দমন করতে গঠন করেছিলেন সৈন্যদলও। কথিত আছে সেই সময়ই এক জটিল রোগে আক্রান্ত হন রাজা। কবিরাজরাও ব্যর্থ হয়েছিলেন সেই রোগ নির্মূল করতে। তখনই দেবাদিদেব মহাদেবের স্বপ্নাদেশ পান রাজা এবং আড়ার কালদিঘি পুকুরের পাশে রাঢ়েশ্বর শিব মন্দির তৈরি করেন। এই মন্দিরেই বাবা রাঢ়েশ্বরের আরাধনা করে অলৌকিকভাবে জটিল রোগ থেকে মুক্তি পান রাজা। তখন থেকেই আড়ার শিব মন্দিরে বাবা রাঢ়েশ্বরের আধারণা হয়ে আসছে।

একদিকে শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে যেমন সেজে উঠেছে রাঢ়েশ্বর শিবমন্দির, তেমনি ভিড়ের কথা মাথায় রেখে করা হয়েছে পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা। ভক্তদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য নানা সুবন্দোবস্ত করেছেন মন্দির কমিটিও। এছাড়াও ভক্তদের জন্য করা হয়েছে অন্নকুটের ব্যবস্থাও।





