সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ– ‘কাটমানি’ বিতর্ক থিতিয়ে যাওয়ার আগেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় নতুন করে প্রায় ৫৭ হাজার ‘বাংলা আবাস যোজনা’ র বাড়ির বরাত। জেলার ২৩ টি ব্লকে ওই প্রকল্পের জন্য সরকার ৬৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। উপভোক্তাদের নথিকরন, জমির দলিল ও পরিবারের আর্থিক অবস্থা যাচাই এর কাজও জোর কদমে শুরু করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রাজ্য জুড়ে, ‘বাংলা আবাস যোজনা’ য় গরীব মানুষদের জন্য বাড়ি বিতরনে যে গ্রামে-গ্রামে ‘কাটমানি’ নেওয়া হচ্ছিল, প্রশাসনিক কর্তাদের সামনে তা নিয়ে হাটে হাড়িঁ ভাঙেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গত ২৬ শে অগস্ট বর্ধমানে। জেলার প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন ‘বাংলা আবাস’ যোজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মঙ্গঁলকোট, ভাতার, খন্ডঘোষ, রায়না-র অনেক জায়গায় মানুষকে ‘কাটমানি’ নিয়ে ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমার কাছে খবর আছে। দোতলা বাড়ীর মালিক কাটমানি দিয়ে যেমন ঘর পেয়েছে আবার মৃত মানুষের নামে বাড়ি বরাদ্দ করে তা ভাড়া খাটানোও হচ্ছে।” খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এমন কটাক্ষে বেশ বিপাকে পড়ে জেলা প্রশাসন। তারপরই, প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের প্রায় ধমকে মুখ্যমন্ত্রী হুকুম করেন-” কাজে স্বচ্ছতা আনুন। কোনোরকম বে আইনী কাজ মানবো না। গরীব মানুষের ঘর নিয়ে কারা কারা বদমাইশি করছে, ব্যবস্থা নিন”। এরপরই নড়ে চড়ে বসে জেলা প্রশাসন। ব্লকে, ব্লকে- বিডিওদের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্প শুরু হয়- উপভোক্তা চিনহিত করনের জন্য।এখন পূর্ব বর্ধমানে নতুন করে ৫৬,৮৩০ টি ‘বাংলা আবাস যোজনা’ বাড়ির বরাত এসেছে। জেলাশাসক বিজয় ভারাতী জানা,”সবচেয়ে বেশি বাড়ি পাচ্ছে ভাতার ব্লক। সেখানে ৫০৩৪ টি বাড়ি দেওয়া হবে। প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ব্লকে ব্লকে কড়া নির্দেশ পাঠানো হয়েছে”। নতুন বরাদ্দে, সবচেয়ে কম বাড়ির বরাত পেয়েছে রায়না- ২ ব্লক। সেখানে ৯৫২ জন উপভোক্তা ঘর পাবেন ।