জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,কলকাতাঃ- দেখতে দেখতে গত ২ রা জুন তৃতীয় বছরে পদার্পন করল কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হেল্পিং হ্যাণ্ডস’। শুরুর দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য এবার তারা বেছে নিলেন কলকাতার টালিগঞ্জ, লেক গার্ডেন্স, লেক কালীবাড়ি, ঢাকা কালীবাড়ি প্রভৃতি এলাকা। একে একে প্রায় ষাট জন মানুষের হাতে তুলে দিলেন খাদ্যসামগ্রী। অসময়ে খাদ্যসামগ্রী পেয়ে অসহায় মানুষগুলি খুব খুশি।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করার সময় পিয়ালী বসু ছাড়াও ‘হেল্পিং হ্যাণ্ডস’ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মৌসুমী দে, কাকলি চৌধুরী এবং সর্বোপরি মেয়ে পিয়ালীর ডাকে সাড়া দিয়ে তার পাশে ছিলেন মা স্বপ্না বসু। তার সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া – মেয়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে কি থাকা যায়! তাইতো তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়লাম।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ২ রা জুন বিশিষ্ট অভিনেত্রী পিয়ালী বসুর হাত ধরে পথ চলা শুরু হয়েছিল ‘হেল্পিং হ্যাণ্ডস’ -এর। চলার পথে পাশে পেয়েছিলেন বেশ কয়েকজনকে। তারপর গত দু’বছর বছর ধরে সেবার জগতে বিশেষ ছাপ রাখে সংস্থাটি। শিল্পী সুলভ ‘ইগো’ ঝেড়ে ফেলে সাহায্যের ডালি নিয়ে তারা পৌঁছে গেছে কখনো সুন্দরবনে, কখনো বা অযোধ্যা পাহাড়ের দুস্থদের পাশে। এবার তারা বেছে নিল কলকাতার বিভিন্ন এলাকার অসহায় ফুটপাতবাসীদের।
লক্ষ লক্ষ দর্শকের নয়নের মণি তথা যাত্রা জগতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী কাকলি চৌধুরী বললেন – এতদিন মঞ্চে উঠেছি, অভিনয় করেছি, মানুষের হাততালি পেয়েছি। খুব ভাল লাগত। কিন্তু আজ সম্পূর্ণ অন্য ধরনের অনুভূতি হলো। এখানে না এলে জীবনটাই অসম্পূর্ণ থেকে যেত। সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমার ছোট বোন পিয়ালীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতেও আমি তার পাশে থাকব।
গত দু’বছর ধরে যাদের সক্রিয় ও আন্তরিক সহযোগিতায় ‘হেল্পিং হ্যাণ্ডস’ বারবার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পিয়ালী দেবী বললেন – এরা না থাকলে কখনোই মানুষের পাশে থাকতে পারতাম না। তবে আজ আমার অনুভূতি অন্যরকম। আমি যেমন আমার মা’কে পাশে পেয়েছি তেমনি পাশে পেয়েছি যাত্রামোদী দর্শকদের নয়নের মণি কাকলিদি’কে। নিজের চরম ব্যস্ততার মধ্যেও যেভাবে তিনি আমাদের পাশে দাঁড়ালেন সেটা প্রকাশ করার মত ভাষা আমার জানা নাই। আশাকরি আগামীদিনেও দিদিকে পাশে পাব।