অর্পিতা ঘোষ, কলকাতা -: গত ছ’বছর ধরে অনলাইনে আবৃত্তি পাঠ, অঙ্কন, নৃত্য, হস্তশিল্প সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলেও এই প্রথমবারের জন্য বিপ্লবী নলিনী গুহ সভাগৃহে অনুষ্ঠানের আয়োজন করল কলকাতার বাটানগরের সুপরিচিত সাহিত্য সংগঠন ‘শকুন্তলম’।
একগুচ্ছ কবি ও বিজয়ী প্রতিযোগীদের উপস্থিততে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শ্রীতমা মণ্ডল এবং নৃত্য পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী রিদিমা দাস। সাহিত্য বিষয়ে মননশীল আলোচনা অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। এছাড়া অভিরূপ বোস পরিবেশিত লোকসঙ্গীত, ইন্দ্রাণী চক্রবর্তীর আবৃত্তি পাঠ, শ্রাবন্তী রায় পরিবেশিত সঙ্গীত এবং ড. শর্মিষ্ঠা দেবের আধুনিক গান উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। অনলাইনে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিষয়ে স্থানাধিকারীদের হাতে স্মারক ও শংসাপত্র তুলে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তথা প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশ্বনাথ পাল এবং বিশিষ্ট যাত্রাশিল্পী তথা নাট্যকর্মী উত্তম কুমার ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহামায়া রুদ্র, ডা. অশোক খাঁড়া, নিগমানন্দ মণ্ডল, জয়ন্তী রুদ্র, রামকৃষ্ণ দাস, রাজীব কুমার নস্কর, দুর্গা শঙ্কর রথ প্রমুখ। ছিলেন দু’জন মহিলা বাউন্সার মৌসুমী ও নূপুর। বিভিন্ন বিভাগের বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আবৃত্তির ক্ষেত্রে কনকলতা বিশ্বাস, সঙ্গীত ও অঙ্কনে ড. শর্মিষ্ঠা দেব, হস্তশিল্পে বিশ্বনাথ পাল এবং নৃত্যে সিঞ্জিনী দেব। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রাবন্তী রায় ও শকুন্তলা পাল। তাদের সরস সঞ্চালনা উপস্থিত প্রত্যেককে মুগ্ধ করে।
সংগঠনের কর্ণধার শকুন্তলা পাল বললেন, সবার পক্ষে কলকাতায় এসে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাদের খুঁজে বের করার জন্য আমরা প্রতিবছর অনলাইনে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। এই প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজন করলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি প্রত্যেক অতিথির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

















