সঙ্গীতা কর, কলকাতা -: মানুষের লোভ ও বেহিসেবি কর্মকাণ্ডের জন্য পৃথিবীর অস্তিত্ব বিপন্ন। আমাদের সাধের পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক দেশ ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল দিনটি সর্বসম্মতিতে ‘বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর থেকে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট ভাবনাকে সামনে রেখে এই দিনটি পালন করা হয়। ২০২৫ সালের থিম হলো – ‘আমাদের শক্তি, আমাদের গ্রহ।’ এই থিমটিকে সামনে রেখে বিভিন্ন সংস্থা ও সরকার দিনটি পালনে এগিয়ে আসে।
বসুন্ধরাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে ‘পশ্চিমবঙ্গ প্রকৃতি পরিষদ’। সংস্থাটি হাওড়ার বাগনানের খালোড় গ্ৰামে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে। রোপণের জন্য কবি-সাহিত্যিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চারাগাছ। দত্তক হিসাবে একটি গোলাপ জাম ও জামরুল গাছ তুলে দেওয়া হয় বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী ও বৃক্ষপ্রেমী লোপামুদ্রা বসুমল্লিক দাসের হাতে। উপস্থিত মানুষদের পাশে নিয়ে তিনি গাছ দুটি রোপণ করেন।
দত্তক হিসাবে গাছ দুটি হাতে পেয়ে লোপামুদ্রা দেবী খুব খুশি। তিনি বললেন, জীবনে অনেক উপহার পেয়েছি। সবগুলি ছিল ব্যক্তিগত উপহার। আজ এমন একটা উপহার পেলাম যেটা সবার উপকারে লাগবে। চেষ্টা করব গাছদুটি বড় করে তুলতে। পৃথিবীকে রক্ষার করার জন্য একটি করে বৃক্ষরোপণ করার জন্য এবং বৃক্ষচ্ছেদন না করার জন্য সবার কাছে তিনি আবেদন করেন।
এই মহতী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাগনান -১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পঞ্চানন দাস, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক মধুসূদন বাগ, চিত্রশিল্পী ও সাংবাদিক সৈকত খাঁড়া, কৃষক সংগঠক মৈনুদ্দিন বেগ, পরিবেশপ্রেমী পৌলভী মিশ্র সহ আরও অনেকেই।
সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু বললেন, পরিবেশ রক্ষা করার লক্ষ্যে সবার সচেতনতার বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর এই দিবসটি আমরা পালন করি। যদি একজন মানুষ পরিবেশকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন তাহলে আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে ধরে নেব। আমাদের আশা ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে প্রত্যেকেই সচেতন হবেন।





