সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লছিপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণা গোস্বামী (৪৮)। মৃতের পরিবারের তরফে এলাকার পাঁচ ছয় জন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
জানা গেছে, কুলটির লছিপুর এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণা গোস্বামীর ছোট ছেলে এলাকার একটি দোকান থেকে টাকা চুরি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে বুধবার বিকেলে এলাকার কিছু যুবক তাদের বাড়িতে হানা দেয় ও কৃষ্ণার ছোট ছেলের খোঁজ করতে থাকে। সেই সময় বাড়িতে কৃষ্ণা তার স্ত্রী ও ছেলেরা বাড়িতেই ছিল। অভিযোগ ওই যুবকেরা অভিযুক্ত কিশোরকে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় কৃষ্ণা বাধা দেওয়ায় তাকে মারধরের পাশাপাশি শাবল দিয়ে আঘাত করতে থাকে ওই যুবকেরা। ঘটনায় অচৈতণ্যা হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। অবস্থা বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি এলকা ছেড়ে চম্পট দেয় যুবকের দল। অন্যদিকে কৃষ্ণাকে উদ্ধার করে আসানসোলে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ছেলেরা। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কৃষ্ণার স্ত্রী মুন্নিদেবী ও মেজ ছেলে গোবিন্দ গোস্বামী অভিযোগ করে বলেন, “বুলু ও সুভাষেরা টাকা চুরির মিথ্যে কথা বলছে। ছোট ছেলে যখন চাল কিনতে দোকানে গেছিলো, তখনও তাকে ওরা ধরেছিলো। পরে বিকেলে আবার আসে। সেই সময় ওরা আমাদের উপর শাবল, লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। কৃষ্ণাকে শাবল দিয়ে মারে। তাতে ওর মৃত্যু হয়।”
অমানবিক ও নৃসংশ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন লছিপুর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।