সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– লাঠি উঁচিয়ে দলবল নিয়ে সরকারি জমি দখলের চেষ্টা ও স্থানীয়দের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। ঘটনা আসানসোলের কুলটি থানার লালবাজার ইটভাটা এলাকার। কেন্দ্রীয় সংস্থা সেইল বা স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সোমবার। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, আসানসোল পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে কুলটির লালবাজার ইটভাটা এলাকায় সেইলের সরকারি জমি রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর লালন মেহেরা লোকজন নিয়ে ওই জমি দখল করতে যায়। এমনকি স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হন কাউন্সিলর সহ তার লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। আহত হন দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার পুলিশ বাহিনী ও পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে কুলটি থানায় বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। তারা কুলটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
অন্যদিকে এই ঘটনায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।(যদিও ভিডিওর সত্যতা যাছাই করেনি এই বাংলায় নিউজ পোর্টাল) যেখানে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলারকে লাঠি হাতে দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও বিজেপি কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লালন মেহেরার দাবি তিনি কারও উপর হামলা করেননি। অন্য ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন লোক সেলের ওই জমি আমিন দিয়ে মাপ করছিলো। সেই খবর পেয়ে তিনি এলাকায় যান এবং তখন তার উপর হামলা চালানো হলে তিনি আত্মরক্ষার্থে হাতে লাঠি ধরেন।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। কুলটি ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্ত বলেন, “১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলরকে লাঠি উঁচিয়ে একটা ভিডিও ফুটেছে দেখলাম। আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম। আমি বলব এটা উত্তর প্রদেশ বিহার নয় এটা পশ্চিমবঙ্গ, এখানে মা মাটি মানুষের সরকার। আমি দলীয়ভাবে পুলিশকে অনুরোধ করেছি এই ঘটনা তদন্ত করে যারা দোষী তাদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে কোন রং দেখা যাবে না।”
কুলটি থানার পুলিশ জানিয়েছে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।