সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– বেসরকারি সামাজিক সংগঠনের চলা হেল্থ ক্লিনিকে নিয়ে বিতর্ক। অভিযোগ পুরনিগমের কমিউনিটি হল দখল করে ওই ক্লিনিক চালানো হলেও ঠিক মতো পরিষেবা দেওয়া হয়না। বরং স্থানীয় মানুষজন যাতে ওই হলটি নানা সামাজিক কাজে ব্যবহার করতে পারে তার দাবি জানিয়ে বিরোধীতায় সরব হলেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে অভিযোগ স্থানীয়রা স্বাস্থ্যশিবিরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, ওষুধপত্র নষ্ট করে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে মধ্যস্থতা করতে হয় পুলিশকে। ঘটনা আসানসোলরে কুলটি বিধানসভা এলাকার।
জানা গেছে, আসানসোলের কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুরের লছিপুর জিটি রোডের পাশে আসানসোল পুরনিগমের তরফে এলাকার সামাজিক কাজের জন্য তৈরি করা হয় একটি কমিউনিটি হল। সেই হলটিতে বর্তমানে আসানসোল সোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ” টাচ “এর হেল্থ ক্লিনিক ইউনিট চলে। যা, চালাতে সাহায্য করে পুরনিগম।
বুধবার ওই এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা এই হেল্থ কেয়ারের বিরোধিতায় সরব হন এবং বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দা মনিকা দেবী ও পূর্ণিমা সিংরা অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক সংগঠনটি এলাকার বাসিন্দাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার নামে এই কমিউনিটি হলটি নিলেও সেরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেয়না। ওষুধ বাইরের থেকে কিনতে হয়। এমনকি হলটিতে জিনিসপত্র, খাট-বিছানা রেখে বাড়ি ঘরের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা পাল্টা দাবি জানান পুরনিগমের তরফে তৈরি করে দেওয়া হল তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যাতে তা এলাকার গরীব দুঃস্থ মানুষদের বাড়ির বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে কাজ লাগে।
যদিও ওই সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্পাদক সপ্তম পাঁজা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি পাল্টা বলেন, এদিন যখন হেল্থ কেয়ার ইউনিটটি চলছিল, তখন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা সেখানে ঢুকে ভাঙচুর করেন। তিনি জানান ওই হলে গরীব দুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। বাইরে থেকে চিকিৎসক আসেন। তাই স্থানীয় পুর কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলে, তার থাকার জন্য হলের একটি ঘর ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এবং এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে কমিউনিটি হলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, পুর প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে।