eaibanglai
Homeএই বাংলায়নির্মিয়মাণ বাড়িতে কুয়ো কাটার সময় ধস চাপা পড়ে মৃত্যু এক শ্রমিকের

নির্মিয়মাণ বাড়িতে কুয়ো কাটার সময় ধস চাপা পড়ে মৃত্যু এক শ্রমিকের

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া:-নির্মিয়মাণ একটি বাড়িতে কুয়ো কাটার সময় ধস চাপা পড়ে মৃত্যু হল বিকাশ হাজরা(৪৩) নামে এক শ্রমিকের। তাঁর বাড়ি কাটোয়ার খাজুটির হরিপুর গ্রামে। আজ সকালের কাটোয়ার ১০ ওয়ার্ডের দক্ষিণ পালপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী খবর দেয় দমকলে। খবর পৌঁছোয় কাটোয়া থানাতেও। দীর্ঘ চেষ্টার পর চাপা পড়ে থাকা শ্রমিককে উদ্ধার করেন দমকলের কর্মীরা। দ্রুত কাটোয়া হাসপাতালে আনা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অভিযোগ, অনুমোদন ছাড়াই ওই বাড়িতে কুয়ো কাটার কাজ চলছিল। এমন কী পুকুর বুঝিয়ে পিলার তুলে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। পুকুর থেকে রাস্তার উচ্চতা বরাবর পিলারের ভিতরে বালি ফেলা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই দুর্ঘটনার জন্য সরাসরি অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে পুরসভা ও স্থানীয় কাউন্সিলরের দিকে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় এক বাসিন্দা জায়গা কিনে বাড়ি তৈরি করছিলেন। বাড়ির একটি ঘরে শৌচালয়ের চেম্বার কাটার জন্য আজ সকালে তিনজন শ্রমিক কুয়ো কাটার কাজ করছিলেন। আচমকা মেঝের নীচে ভর্তি থাকা বালির ধস চাপা পড়েন কুয়োর গভীরে থাকা শ্রমিক বিকাশ হাজরা। সঙ্গে থাকা অন্য দুই শ্রমিকের চিৎকারে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তারাই খবর দেয় দমকল ও পুলিশে। ঘটনার খবর পেয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর অবিরাম হালদার ঘটনাস্থলে আসেন। বাড়ির বৈধতা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন এলাকাবাসীরা। সঠিক উওর না মেলায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে। একসময় এলাকা ছাড়েন কাউন্সিলর। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগের আঙ্গুল তৃণমূল পরিচালিত কাটোয়া পুরসভার দিকে। তাদের অভিযোগ, কাটমানির টাকা খেয়ে বেআইনি বাড়ি নির্মাণের প্ল্যান পাশ করিয়ে দিয়েছে পুরসভা। যে কারণেই আজ এই দুর্ঘটনা।
অবিরামবাবু নিজেও অবশ্য স্বীকার করেন, ওই বাড়িটি অবৈধ। তিনি বলেন,“ওই নির্মাণ পুরোপুরি বেআইনি। জমির কোনও দলিল নেই। কী করে করছিল জানি না।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments