সোমনাথ মুখার্জী, লাউদোহাঃ রাজনীতির প্রাঙ্গণে দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কোনও ঘটনা নয়। রাজ্যে শাসকদলের দৌলতে গোষ্ঠীকোন্দলের সঙ্গে আজ রাজ্যবাসী বেশ ভালোভাবেই পরিচিত। তবে লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির পর এবার শাসকদলের দেখানো পথেই পা বাড়ালো বিজেপিও। মঙ্গলবার লাউদোহা এলাকায় ৮ বছরের এক নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার পর বুধবার মৃতা নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গেছে, সেখানে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় জেলা নেতৃত্ব স্থানীয় বিজেপি সদস্যদের কাছ থেকে এলাকার দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতার নাম জানতে চান। সেইসময় স্থানীয় কিছু বিজেপি কর্মী লাউদোহা মণ্ডলের সভাপতি সারদা প্রসাদের নাম জানালে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এলাকার প্রবীণ বিজেপি নেতা নকুল গোস্বামী বিজেপি নেতা সারদা প্রসাদের নাম উঠতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বলে অভিযোগ। নকুল গোস্বামীর অভিযোগ বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত সারদা প্রসাদ আসলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় বচসা। ফলে মৃত নাবালিকার পরিবার ও এলাকাবাসীর সামনে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যান বিজেপি জেলা নেতৃত্বরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘরুই। প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দলের ঘটনা সামনে এসে যাওয়ায় তা ঢাকতে বিজেপি জেলা সভাপতির পাল্টা দাবি, বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির পর বিভিন্ন দল থেকে নতুন সদস্য যোগ দেওয়ায় দলে একটু-আধটু সমস্যা তৈরী হয়েছে। তবে দ্রুত এই সমস্যার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তিনি জানান, বিজেপির তরফে অপরাধীদের ফাঁসীর সাজা ঘোষণা দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবারই মেয়ের খুনের ঘটনায় কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মৃতা কবিতা শুক্লার মা। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের খুনীদের ফাঁসীর সাজা ছাড়া তারা আর কোনও সাহায্য চান না। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই কবিতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।