সংবাদদাতা আসানসোল:- জামুড়িয়া থানা এলাকায় চলছে অবৈধ কয়লার রমরমা কারবার বলে অভিযোগ। সিআইএফের হাতে ধরা পড়লো দুটি কয়লা বোঝাই লরী। অবৈধ কয়লা পাচারের মুক্তাঞ্চলে পরিনত হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়া থানা এলাকা। সম্প্রতি সিআইএসএফ ও ইসিএলের নিরাপত্তা রক্ষীদের গোপন অভিযানে অবৈধ কয়লা বোঝাই দুটি লরী ধরা পড়ে জামুড়িয়া থানা এলাকার চুরুলিয়ায়। কয়লা বোঝাই লরী দুটি জামুড়িয়া থানার হেফাজতে দিয়ে ইসিএলের অভিযোগের পরেও পুলিশ ঘটনার তিন দিন পরেও কোন অভিযোগ দায়ের না করায় প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ তারকেশ্বর, লোকেশ, আখতার, নিরঞ্জন সহ বেশ কয়েকজন কয়লা মাফিয়ার নামে ইসিএলের পক্ষ থেকে জামুড়িয়া থানা ও চুরুলিয়া আউটপোষ্টে, লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ এখনো তাদের এফআইআরের কোন কপি দেয়নি। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। কোন রকম রাখঢাক না করেই কেউকেউ বলছেন পুলিশ কয়লা পাচারের ঘটনাটিকে ধামচাপা দিতে চাইছে। তা না হলে দু দুটি অবৈধ কয়লা বোঝাই লরী থানার হেফাজতে দিয়ে কয়লা মাফিয়াদের নামে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এখনো তাদের ধরতে কোন উদ্যোগ নেয়নি। পুলিশ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই এলাকায় অবৈধ কয়লা পাচার চলছে জনৈক তারকেশ্বর নামের এক মাফিয়ার প্যাড ব্যবহার করে। এক একটি প্যাডের দাম নেওয়া হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। আর তা ব্যবহার করেই চলছে অবৈধ কয়লা পাচারের রমরমা কারবার। পুলিশের সহযোগিতাতেই ফুলেফেঁপে উঠেছে এই অবৈধ কারবার বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে জামুড়ীয়ার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ কয়লা খাদান রমরমিয়ে চলছে এই খবর পাবার পর নড়েচড়ে বসেছে ইসিএলের জামুড়ীয়ার এবিপিট কতৃর্পক্ষ। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে বেআইনি কয়লা খাদানে মৃতু হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে তাই ইসিএল কতৃর্পক্ষ অবৈধ কয়লা খাদান বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সোমবার সকালে ইসিএলের সিআইএসএফের সহযোগিতায় জামুড়ীয়ার বিভিন্ন জায়গায় ডোজার দিয়ে বন্ধ করলেন। সকাল থেকে ১২ টা অবৈধ কয়লা খাদান বন্ধ করা হয়েছে ইসিএল কতৃর্পক্ষর দাবি এলাকায় ২৭ টা অবৈধ কয়লা খাদান রয়েছে যেখান থেকে কয়লা মাফিয়া কয়লা তুলে পাচার করছে।