জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরাঃ- একটা করে বাস দুর্ঘটনার হাত ধরে যখন জীবনহানি ঘটে তখনই প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ে। শুরু হয় কড়াকড়ি। দু’দিন ঠিকঠাক চলে। বাসের ছাদে ওঠার জন্য পেছনের সিঁড়ি কেটে ফেলা হয়। ধীরে ধীরে প্রশাসনের নজরদারি কমে আসে। আবার সবকিছু আগের মতই চলতে থাকে। বাসে ওঠার সিঁড়ি না থাকলেও পেছনের বাম্পারে এক শ্রেণির যাত্রীদের ঝুলতে দ্যাখা যায়। পরবর্তী দুর্ঘটনার জন্য আমরা অপেক্ষা করে থাকি।
কিছুদিন আগে কাটোয়ায় একটা বাস দুর্ঘটনার হাত ধরে প্রাণহানি ঘটে। তারপরও হুঁশ ফেরেনি। তারই নমুনা নিত্য বহন করে চলে এনএইচ-টু সহ বিভিন্ন জাতীয় বা রাজ্য সড়ক।
এমনিতেই রাস্তাটি দিয়ে প্রতি মুহূর্তে বালি ও পাথরের গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে।তার মাঝেই এনএইচ-টু গত ৮ ই ফেব্রুয়ারি বর্ধমান থেকে গুসকরাগামী একটা বেসরকারী বাসে কিছু যাত্রীকে বিপজ্জনক ভাবে বাসের পেছনে চেপে থাকতে দ্যাখা যায়। যেকোনো মুহূর্তে বিপদ ঘটে যেতে পারত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক বাসযাত্রী বললেন – বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করতে কারও ইচ্ছে হয়না। আমাদেরও পরিবার আছে। আমাদের কিছু হয়ে গেলে গোটা সংসার বিপদে পড়ে যাবে। বাসে ভিড় থাকার জন্য অনেক সময় ইচ্ছে না থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে ফেলি। জানি এটা অন্যায়।
বাস কর্মীদের বক্তব্য – যদি আমরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত বন্ধ করতে চাই তাহলে চাপটা আমাদের উপর পড়ে। তাছাড়া চলার পথে সবার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। আপদে বিপদে নিত্য যাত্রীরা পাশে দাঁড়ায়। ফলে কিছু বলতেও পারিনা। যদিও জানি এটা ঠিক নয়। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে ঝড়টা আমাদের উপর পড়ে।
এখন দ্যাখার প্রশাসন কিভাবে এই অন্যায় দূর করতে এগিয়ে আসে।